তৃণমূল জমানায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলকে একেবারে চরম নাস্তানাবুদ করছেন বাম নেতৃত্ব। আর এবার তারই পালটা হিসাবে বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে তুলে আনছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেই তালিকায় সামনে এসেছে সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তীর চাকরির প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেতৃত্ব সেই মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটারের একটি ছবি সামনে এনেছে। গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এবার তা নিয়ে পালটা দিলেন সুজন।সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন, সার্ভিস রেকর্ডের কথা কীভাবে প্রকাশ্য়ে এল? সার্ভিস রেকর্ড প্রকাশ করলে পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করা হোক। তাঁর দাবি স্ত্রী পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। তৃণমূল দুর্নীতিতে ধরা পড়ে খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে।এদিকে শুধু সুজন মুখ খুলেছেন সেটাই নয়, সুজনের স্ত্রীও এনিয়ে মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সুজনের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন জানিয়েছেন, আমাদের আর্থিক সংকট ছিল। গ্র্যাজুয়েশন করার পরে আমি বিএডে ভর্তি হই। দিনের বেলা চাকরি ও বিকালে চাকরি করতাম। খবর কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে আমি আবেদন করেছিলাম। ওখানে ইন্টারভিউ বোর্ড হয়েছিল। ইন্টারভিউ বোর্ড আমার পরীক্ষা নেয়। তার ভিত্তিতে অ্যাপয়েন্টমেন্টে লেটার দিয়েছিলাম। জয়েনিং লেটার নিয়ে আমি কলেজে যোগ দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে বাজার গরম করা হচ্ছে। ইন্টারভিউতে আমি প্রথম হয়েছিলাম। সেটা প্রিন্সিপাল বলেছিলেন।কিন্তু সেই সময় কি লিখিত কোনও পরীক্ষা হয়েছিল? আর কেউ কি চাকরি পেয়েছিলেন সেই সময়? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তখনকার সিস্টেমের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা ছিল না। ইন্টারভিউ ছিল। অনেকে ছিলেন ইন্টারভিউ বোর্ডে। প্রিন্সিপালের ঘরে অনেকগুলো প্রশ্ন করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষার বিষয়টি ছিল না। আমার সঙ্গে অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন। লেটারে মিলি ভট্টাচার্য আছে। আমি তো বিয়ের অনেক আগে থেকে চাকরি করি। সুজন চক্রবর্তীর নামটা এখানে কীভাবে আসছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি যে সুপারিশ করেছিলেন তার নামটা সামনে আনুন। আমি তার মুখোমুখি হতে রাজি আছি।একেবারে খোলাখুলি জবাব দিয়েছেন মিলি চক্রবর্তী। তবে তাঁর এই চাকরির অনিয়ম সংক্রান্ত তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে আদৌ তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে এত বছর বাংলায় ক্ষমতায় থেকেও কেন বাম জমানার কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করলেন না মুখ্যমন্ত্রী?