চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ফল প্রকাশ আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু, এই সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ বাংলা শিক্ষার এসএমএস পোর্টাল ঠিকমতো কাজ করছে না। পোর্টাল খুলতে গিয়েই হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এই অবস্থায় অনেকেই রাত জেগে কাজ করছেন, আবার ভোর পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে অনেকেই। তারপরও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বেলঘরিয়ায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ছাত্রীর উপর হামলা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাল যুবক
সাধারণত এসএমএস পোর্টাল থেকে ফলাফল তুলতে হয় শিক্ষকদের। তবে বেশিরভাগ সময়ই এই পোর্টাল খুলছে না। আর সেই কারণে পড়ুয়াদের ফলাফল তুলতে গিয়ে দুর্ভোগ্য পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এক কোটি পড়ুয়া রয়েছে। ফলে পোর্টালে সমস্যা থাকায় এত সংখ্যা ফলাফল তুলতে গিয়ে তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা কার্যত ঘরিয়ে অ্যালার্ম দিয়ে মাঝরাতে উঠেও পোর্টাল খোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তারপরেও গতি বাড়ছে না পোর্টালের।
যদিও বাংলা শিক্ষা পোর্টালের সমস্যা এবার প্রথম নয়, গত বছরেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক মহল। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, পোর্টালে পড়ুয়াদের নম্বর তুললে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কশিট তৈরি হয়ে যায়। আগের মতো সরকার থেকে ফাঁকা মার্কশিট স্কুলগুলিকে বিলি করা হলেও তা এখন সেভাবে কাজে দেয় না। ফলে পোর্টাল থেকে মার্কশিট ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হয়। যদিও এর ফলে শিক্ষকদের সময় কমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ হাতে লিখতে হচ্ছে না। তবে পোর্টাল ঠিকমতe কাজ না করায় সমস্যা কমছে না বলেই দাবি শিক্ষকদের একাংশের।
শিক্ষকদের বক্তব্য, গতবারের মতো এবারও যাতে একই সমস্যা না হয় তার জন্য এর আগে স্কুল শিক্ষা কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে জানানো হয়েছিল। শিক্ষকদের বক্তব্য, পোর্টাল খুবই নিম্নমানের। ফলে এই পোর্টালে কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। রাত জেগে শিক্ষকরা রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
যদিও শিক্ষা দফতরের দাবি, যেহেতু সব স্কুল এই পোর্টালে একই সময়ে কাজ করছে তাই সার্ভারে বেশি চাপ পড়ছে। সেই কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তবে বেশ কিছু স্কুলে ইতিমধ্যেই কাজ শেষ হয়েছে। সার্ভারের ক্ষমতা এভাবে বাড়ানোও সম্ভব নয় বলেই দাবি শিক্ষা দফতরের।