সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলেও মঞ্চে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী। নীচে বসে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। যার জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম এবং কুণাল ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ, শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মঞ্চই হয়ে উঠল রাজনৈতিক রেষারেষির জায়গা। কারণ হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে পৌঁছতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে উড়ে আসে জয় শ্রীরাম স্লোগান। সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলেও মঞ্চে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী। আমলাদের সঙ্গে নীচে বসে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। যার জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম এবং কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু? এই ঘটনা বিজেপিকেই বিপাকে ফেলে দেয়। কারণ বাংলার মানুষ দেখতে পান বিজেপি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান দিতে জানে না। পরিস্থিতির ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিবিদ। দুর্ভাগ্যবশত যাঁকে আমি–সহ ৪০ হাজার লোক খেটে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম। ওঁকে আমি প্রাক্তন করেই ছাড়ব। এরকম ঘটনা আরও হবে, যেটা ওঁকে পরে ঘরে বসে দেখতে হবে। একইরকমভাবে ড্রামা আগেও করেছিলেন। আসলে নন্দীগ্রামে আমার কাছে হারটা ভুলতে পারেননি। যতদিন রাজনীতি করবেন এই হারটা মাথায় নিয়েই থাকতে হবে। বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক এবং কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অযথাই মনে করেছেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।’