হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে বন্দুক হাতে ক্যামেরায় ধরা পড়া যুবক বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতারির পর তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে বহিরাগত গুন্ডা দিয়ে রাজ্যের আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ, ওই যুবক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে ছিলেন প্রমাণ করুন।
এদিন দিঘার সভায় মমতা বলেন, বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে। বিহারের সব মানুষ তো গুন্ডা নয়। আর এরা কী করেছে, বুলডোজার ট্রাক্টর নিয়ে ঢুকেছে। যারা ফল বিক্রি করে তাদের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক মানুষের ঘর জ্বালিয়েছে।
পালটা বিকেলে বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সুমিত সাউ না কাকে মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করেছে। ভাইপো যেই টুইট করেছে অমনি পুলিশ ছুটেছে গ্রেফতার করতে। তা উনি প্রমাণ করুন না যে ওই যুবক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে ছিল।
এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হাওড়ায় রাম নবমীর যে মিছিলে হামলা হয়েছিল তার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিল RSS-এর এই শাখা সংগঠন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, যে যুবককে অস্ত্রহাতে মিছিলে দেখা যাচ্ছে সে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে ছিল না। সম্ভবত ওই দিনই সকালে হাওড়ায় রাম নবমীর আরেকটি শোভাযাত্রা হয়। সেখানে ছিলেন ওই যুবক। সুমিত সাউ নামে ওই যুবককে সোমবার বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।