আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়। এই আবহে পুলিশ বারংবার তলব করেছে তাঁকে। আর তাই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সুখেন্দু। তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কা থেকেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সুখেন্দুর আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামিকাল কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি হতে চলেছে। (আরও পড়ুন: আরজি করের সেমিনার ঘরেই কি হয়েছিল খুন? নিশ্চিত নয় CBI: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'ডায়েরি থেকে ছেঁড়া হয় পাতা', এবার আরও বিস্ফোরক RG কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা
আরও পড়ুন: 'ব্যক্তিগত ভাবে হস্তক্ষেপ করুন',RG কর কাণ্ডে মোদীকে চিঠি ৭০ পদ্ম সম্মান প্রাপকের
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে গতকাল দুই দফায় তলব করেছিল লালবাজার। তবে তিনি যাননি। তবে তিনি যে তাঁর অবস্থান থেকেও নড়বেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গতকাল রাতে তিনি ইঙ্গিতবহ ভাবে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়- ইউটিউবের একটি গানের লিঙ্ক। গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আমি ভয় করব না'। সঙ্গে কোনও ক্যাপশন বা কিছু ছিল না। তবে মনে করা হচ্ছে, পুলিশি তলবের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা দিতেই এই পোস্ট করেছেন সুখেন্দুশেখর।
এদিকে গতকাল সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ। তবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহে বাতিল হয় ডার্বি। নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে এই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। তবে যুবভারতীর বাইরে গতকাল বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ অনেককে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়। অনেকের ওপর লাঠি চার্জও হয়। এই পরিস্থিতিতে যুবভারতীর বাইরে ফুটবলপ্রেমীদের ওপর পুলিশি দমন নিয়েও পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি লেখেন, 'আমি সমস্ত ফুটবল এবং ক্রীড়া সমর্থকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যুবভারতীর সামনে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক জমায়েতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের পুলিশের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে। জয় মোহনবাগান, জয় ইস্টবেঙ্গল।'
এর আগে এর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গ্রেফতারি চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প ভাসিয়েছিল তা জানা আবশ্যক। কেন হলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হল, কারা এই সঞ্জয় রায়কে এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কেন ৩ দিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের মুখ খোলন।' এরপরই রবিবার বিকেল ৪টেয় সুখেন্দুকে লালবাজারে হাজিরা দিতে বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে। তবে তিনি যাননি। পরে ফের রাতেও তলব করা হয় তৃণমূল সাংসদকে। তখনও যাননি। আর আজ সকালে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।