তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন দরজা ভিতর থেকে লাগানো ছিল না। ঘটনার কয়েকদিন আগে ফয়জান অন্য এক আবাসিকের কাছ থেকে রান্না করা সরঞ্জাম নিয়েছিল। যার জিনিসটি সে ফয়জানের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। তখন তার হাতে ওই সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়।
ফয়জান আহমেদ
আইআইটি খড়গপুরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত পেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এবার ফয়জানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চাইছে সিট। কয়েকজন আবাসিকের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কেউ পলিগ্রাফে রাজি না হলে সেবিষয়টিও আদালতে জানানো হবে। যদিও কতজনের পরীক্ষা করা হবে সেবিষয়ে জানা যায়নি।
যেখানে ফয়জানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনাস্থলে দ্বিতীয় জন উপস্থিত ছিল বলে আশঙ্কা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে যে রক্ত পাওয়া গিয়েছে সেই রক্ত আদৌও ফয়জানের কিনা তা জানার জন্য ফয়জানের বাবা মায়ের রক্তের নমুনা আগেই সংগ্রহ করা হয়েছে। তার সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া রক্তের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন দরজা ভিতর থেকে লাগানো ছিল না। ঘটনার কয়েকদিন আগে ফয়জান অন্য এক আবাসিকের কাছ থেকে রান্না করা সরঞ্জাম নিয়েছিল। যার জিনিসটি সে ফয়জানের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। তখন তার হাতে ওই সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। পরে তিনি অন্য দুই আবাসিকের হাতে সেটি তুলে দেন। আবার ওই অন্য দুই আবাসিকের বক্তব্য, তারা ফয়জানর দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খোলেনি। ফলে কে সত্যি বলছে তা জানার জন্য পলিগ্রাফ টেস্ট করা হবে। তাছাড়া ফয়জানের পরিবারের তরফে বেশ কয়েকজন আবাসিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাদেরও পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হতে পারে। এছাড়াও অনেকের বয়ান নথিভুক্ত করেছে সিট। সেই মতো খতিয়ে দেখেই কার কার পলিগ্রাফ টেস্ট করা প্রয়োজন তার তালিকা তৈরি করা হবে।