কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, ‘যে কলকাতা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভূমি, সেখানে ভয়ংকর দৃশ্য ধরা পড়ল। যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। স্বামীজি এই সম্প্রীতি ও সহনশীলতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাধাহীনভাবে এরকম কাজ হয়। আর পুলিশে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখে। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি কোন শ্রদ্ধা কোথায়?’
অশ্লীল ভাষাও প্রয়োগের অভিযোগ, দাবি কেয়া ঘোষের
সেইসঙ্গে একটি ভিডিয়ো (পৃথকভাবে সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রামকৃষ্ণ মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু। একইসুরে বঙ্গ বিজেপির মিডিয়ার কো-ইনচার্জ কেয়া ঘোষ অভিযোগ করেছেন, গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল ভাষাও প্রয়োগ করা হয়েছে।
আজ পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চলেছে, দাবি তরুণজ্যোতির
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের জবাব চেয়েছেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি অভিযোগ করেছেন, আজ কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চলেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তিতে। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আর পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদতে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি।
পুলিশের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কেন নিশ্চুপ ছিল? কারণ তারা জানে, এই তাণ্ডব রাষ্ট্রেরই ছত্রছায়ায় হচ্ছে। জনগণের টাকায় গড়ে ওঠা পুলিশ প্রশাসন আজ জনগণের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়ে পড়েছে। আজ প্রশ্ন তুলতেই হবে — এই কি নতুন বাংলা? এই কি গণতন্ত্র? এই কি প্রশাসনের কাজ?’ যদিও বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Bratya Basu: এবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন চাকরিহারা শিক্ষকরা! মমতার কথা শুনেছেন আগেই
এমনিতে কসবায় চাকরিহারাদের উপরে লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে প্রবল চাপে আছে কলকাতা পুলিশ। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬,০০০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। সেই ঘটনার পরে কসবায় যখন চাকরিহারাদের একাংশ ডিআই অফিস অভিযান করছিলেন, সেইসময় লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, আত্মরক্ষার্থে ‘সামান্য বলপ্রয়োগ’ করা হয়। এমনকী কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে লালবাজার।