আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তোলপাড় হযেছিল রাজ্য–রাজনীতি। এই ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা চেয়ে আগে সরব হয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় নেমেছিলেন ফাঁসির দাবিতে। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষী সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। তার পর তদন্তে নেমে পাঁচ মাস কাটার পর এই সঞ্জয় রায়কেই দোষী বলে ঘোষণা করে সিবিআই। আর আজ বুধবার বিধানসভা অধিবেশনে আবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের চিকিৎসক নিয়োগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে এসএসকেএম এবং উত্তরবঙ্গে ক্যানসার হাব তৈরির কথা জানান তিনি।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমে ছিলেন। বিরোধীরা এই ঘটনাকে ইস্যু করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, ‘আরজি করের মেয়েটি বিচার পাক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু যাঁরা মহারাষ্ট্র বা অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা করেছেন তাঁদের বলব, বাংলাকে অসম্মান করে অন্য রাজ্যকে সম্মান জানানো যায় না। আরজি করের মেয়েটার জন্য আমরা মর্মাহত।’ দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় এখন জেলে। নির্যাতিতার বাবা–মা একবার সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে ছুটছেন। কিন্তু বিচার মেলেনি। তাই এমন মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ‘হিমালয়ান গ্রিফন ভালচারের’ দেখা মিলল মালবাজারে, গ্রে ল্যাঙ্গুরের পর আবার সুখবর
অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষার প্রশ্ন তুলে দেন। অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনাও টানেন বিরোধীরা। এবার ওই বিরোধীদের কড়া জবাব দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আরজি করের মেয়েটি বিচার পাক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু যাঁরা মহারাষ্ট্র বা অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা করেন তাঁদের বলব, বাংলাকে অসম্মান করে অন্য রাজ্যকে সম্মান জানানো যায় না। আরজি করের জন্য মর্মাহত। মেয়েটা বিচার পাক। অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাকে অসম্মান করতে যাবেন না। মানবতা জাত দেখে না।’