অবশেষে সম্পন্ন হল টালা ট্যাঙ্ক সংস্কারের কাজ। প্রায় চার বছর ধরে চলে সংস্কার। বৃহস্পতিবার সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে টালা ট্যাঙ্কের প্রকোষ্ঠে জল ছাড়া হয়। ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং এশিয়ার বৃহত্তম এই জলাধারের সংস্কার শেষ বার হয়েছিল ১০০ বছর আগে। এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, আগামী ১০০ বছর এই ট্যাঙ্কের সংস্কার করার প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ ২০২৩ সালে আবার এই ট্যাঙ্ক সংস্কার করা হবে। মেয়র ছাড়াও ছিলেন কলকাতা পুরসভায় ১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা, জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
কলকাতা পুরসভার বিশেষজ্ঞরা ২০১৭ সালে টালা ট্যাঙ্কে একটি ছিদ্র শনাক্ত করেন। এরপরে বিশেষজ্ঞরা অবিলম্বে টালা ট্যাঙ্ক সংস্কারের পরামর্শ দেন। এরপরেই ট্যাঙ্কটি সংস্কারের কাজ হাতে নেয় কলকাতা পুরসভা। এই ট্যাঙ্কের মাধ্যমে শহরের একটি বড় অংশে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে সংস্কারের জন্য পানীয় জল সরবরাহ ব্যহত হয়। তার ওপর করোনা অতিমারির কারণে সংস্কারের কাজে কিছুটা দেরি হয়। ১৫ দিন আগেই এই সংস্কারের কাজ শেষ হয়। উল্লেখ্য, ১৯০৭ সালের অগস্ট মাসে এই ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু হয় শেষ হয় ১৯০৯ সালের ১৮ নভেম্বর। ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য ৭ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশ্ববিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ যে ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেই ইস্পাত দিয়েই তৈরি করা হয় এই ট্যাঙ্ক। ২০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই ট্যাঙ্কটি মাটি থেকে ১১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই ট্যাঙ্কে মোট চারটি প্রকোষ্ঠ রয়েছে। যার প্রত্যেকটিতে জল ধারণ ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ২২ লক্ষ গ্যালন এবং সবমিলিয়ে এর জল ধারণ ক্ষমতা ৯০ লক্ষ গ্যালন।