নারী দিবসের প্রতিশ্রুতি রাখেনি মোদী সরকার। আধা সামরিক বাহিনী থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা—সর্বত্রই মহিলার কর্মীর নামমাত্র সংখ্যা বুঝিয়ে দেয় ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ স্রেফ ডায়লগ। আর বিপরীত মেরুতে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার বুকে ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ আজ চূড়ান্ত ভাবে সফল হয়ে উঠেছে।
নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই এবং এপি)
আজ আন্তর্জাতিক নারীদিবস। বাংলা জুড়ে নানা অনুষ্ঠান চলছে। দেশের নারীদের নারীদিবসে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়ার বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কিন্তু নারীদিবসে পরিসংখ্যান বলছে, নারী দিবসের প্রতিশ্রুতি রাখেনি মোদী সরকার। আধা সামরিক বাহিনী থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা— সর্বত্রই মহিলার কর্মীর নামমাত্র সংখ্যা বুঝিয়ে দেয় ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ স্রেফ ডায়লগ। আর বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার বুকে ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ আজ চূড়ান্ত ভাবে সফল হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী লিখেছেন রাষ্ট্রপতি? এদিন নারীদিবস উপলক্ষ্যে টুইটে সকলকে নারীদিবসের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি টুইটে লেখেন, ‘আমি প্রত্যেক নারীকে বলব কিছু বদল করুন। সে বদল হতে পারে পরিবারে, প্রতিবেশীদের মধ্যে কিংবা কর্মক্ষেত্রে। যেকোনও পরিবর্তন প্রত্যেক মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাবে। জীবনে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সকলের কাছে এটাই আমার ঐকান্তিক অনুরোধ।’ এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে দেশের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদী। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, আধা সামরিক বাহিনীগুলিতে ৩৩ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করা হবে নারীদের জন্য। আর ঘোষণার ৬ বছর পর ২০২১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, গড়ে মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ মহিলা জওয়ান রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। সর্বোচ্চ সিআইএসএফ–এ। মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন অসম রাইফেলস এবং আইটিবিপি–তে রয়েছে মাত্র আড়াই শতাংশ। আর বিএসএফ–এ মাত্র ৩ শতাংশ।