৯৫ বছর বয়সে প্রয়াত বেলুড় মঠের অধ্য়ক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ। ভক্তদের মধ্য়ে তৈরি হয়েছে শূন্যতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার এসেছেন এই বেলুড় মঠে। রাজনৈতিক ব্যস্ততা, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বড় দায়িত্ব যাঁর কাঁধে সেই মানুষটা বার বার মাথা নত করেছেন গেরুয়া বসনধারী সর্বত্যাগী এই সন্ন্যাসীদের চরণে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সেই সন্ন্য়াসীদের কথা তুলে ধরেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসেও স্মামী স্মরণানন্দকে দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দ জি মহারাজ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের প্রেসিডেন্ট, গোটা জীবনটা আধ্যাত্মিকতা ও সেবামূলক কাজের জন্য় উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তাঁর জ্ঞান ও সহমর্মিতা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি লিখেছেন, বহু বছর ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ২০২০ সালে বেলুড়মঠে এসেছিলাম। তখন তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল। কলকাতা কয়েক সপ্তাহ আগে গিয়েছিলাম। তখন হাসপাতালে গিয়ে তাঁর শরীরের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছিলাম। বেলুড়মঠের ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি!
মঙ্গলবার রাতে প্রয়াত হয়েছেন স্বামী স্মরণানন্দ। মোদী লিখেছিলেন, লোকসভা ভোট উৎসবের ব্যস্ততার মধ্য়েই স্বামী স্মরণানন্দের প্রয়াণের খবরে আমার মন ভারাক্রান্ত। তিনি ভারতের আধ্যাত্মবাদের একজন পুরোধাপুরুষ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণ একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি। কয়েক বছর আগে স্বামী আত্মস্থানন্দজীর প্রয়াণ ও বর্তমানে স্বামী স্মরণানন্দজীর চলে যাওয়ার খবরে বহু ভক্ত কষ্ট পেয়েছেন। কোটি কোটি ভক্ত, সাধু, রামকৃষ্ণ মঠের অনুগামীদের মতোই আমার হৃদয় আজ ভারাক্রান্ত।