গরমকাল তো পড়েই গিয়েছে। মাথার উপর প্রখর সূর্যের তেজ। গলা শুকিয়ে দিচ্ছে। তখন শুধু প্রয়োজন ‘পানীয় জল’। কিন্তু শহর থেকে জেলা কোথাও যদি পানীয় জলের সংকট দেখা দেয় তাহলে তা চরম আকার ধারণ করে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন? এই প্রশ্ন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে এখন দেখা দিয়েছে। আর তাই বাংলার কোনও প্রান্তে পানীয় জলের সংকট দেখা দিলে তার মুশকিল আসান করতে পথ বের দেখাল নবান্ন। পানীয় জলের সংকট হওয়ার কথা নয় বাংলায়। তারপরও যদি হয় তাহলে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে হবে। এবার এই নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু করল নবান্ন। যা পানীয় জল পেতে মুশকিল আসানের কাজ করবে।
পানীয় জলের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নবান্ন। তারপরও কোথাও কোনও কারণে পানীয় জলের সংকট দেখা দিতেই পারে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার হেল্পলাইন নম্বর চালু হয়েছে। এমনকী পানীয় জলের সংকট মেটাতে প্রত্যেক ব্লকে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই কাজটি করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ফোন পেলেই সে খবর পৌঁছে যাবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে। আর তখনই ব্লক স্তরে থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার থেকে অপারেটরদের নিয়ে গঠিত কুইক রেসপন্স টিম সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে। একটু সময় লাগতে পারে। তবে তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ে দিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামী! রানাঘাটে অনন্য নজির
কোন নম্বরে ফোন করতে হবে? পানীয় জলের সংকট দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ দুটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ৮৯০২০২২২২২ এবং ৮৯০২০৬৬৬৬৬ দুটি নম্বরে। এখানেই হোয়াটসঅ্যাপ করতে হবে। আর সমস্যাটি নিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। আর তখনই কাজ শুরু হয়ে যাবে সমাধানের। এই কারণে এখন প্রত্যেকটি ব্লকে শুরু হয়েছে কর্মশালা। যেখানে বিডিও থেকে শুরু করে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, থানার ওসি বা আইসি এবং বিধায়ক, পুরপিতা–সহ প্রশাসনিক অফিসাররা আছেন। এই সকলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যাতে সঠিক খবর পেয়েই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, জল সংকটের মোকাবিলা করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। শহর থেকে জেলা সর্বত্র জল সংকট যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আর যদি হয় তার সমাধানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। জল তোলার সময় বাড়ানো থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমান জলের গাড়িও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার সঙ্গে জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জল সরবরাহ যাতে প্রবাহমান থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলে যাতে জল থাকে সেটাও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।