অপদার্থতা, কর্তব্যে গাফিলতি ও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে কলকাতায় মানসিক রোগের চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র পাভলভ হাসপাতাল সুপার গণেশ প্রসাদকে বদলি করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। তাঁকে কোচবিহার যক্ষ্মা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। অব্যবস্থার অভিযোগে আগেই তাঁকে শো-কজ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর জায়গায় পাভলভ হাসপাতালের নতুন সুপার হয়েছেন হাওড়ার ডেপুটি সিএমওএইচ মৃগাঙ্ক মৌলী কর।সম্প্রতি পাভলভ হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে। যার জেরে হাসপাতালের সুপারকে শো কজ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। জানা যায়, গত মে মাসে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের পরিদর্শনের সময় পাভলভ হাসপাতালে একাধিক বেনিয়ম উঠে আসে। স্বাস্থ্য কর্তারা দেখেন, ২টি ঘরে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে ১৩ জন রোগীকে। তাদের অনেকের দেহে ক্ষত তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয় না। যে পাত্রে খাবার দেওয়া হয় তাও অপরিষ্কার। হাসপাতালে নেই কোনও ডায়েট কমিটি। অভিযোগ, হাসপাতালে রোগীদের খাবারের টাকা ভাগ হয়ে যায়। সেই ভাগ পৌঁছয় সুপারের কাছেও। হাসপাতালে চিকিৎসকদের দেখা পাওয়া যায় না। হাসপাতাল চালান ইন্টার্নরা। রোস্টার মেনে চলেন না তাঁরা। মর্জিমতো হাসপাতালে যাতায়াত করেন। বছরের পর বছর একই প্রেসক্রিপশনে হয় রোগীর চিকিৎসা।বৃহস্পতিবার পাভলভ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, হাসপাতালের ভিতরে মানুষ থাকতে পারে না। ভয়ানক অবস্থা। সব থেকে বড় কথা যে সব রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন অথচ বাড়ির লোকেরা তাদের নিতে আসছে না তারা ওই পরিবেশে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই সব রোগীদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করতে বলেছি। সেক্ষেত্রে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের সাহায্য নিতে পারে তারা।