এখানে আগুন লাগার পর প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। তারপর দমকল এসে দ্রুতগতিতে জল দিতে থাকে। আগুনের লেলিহান শিখা বেড়েই চলেছে। রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন মানুষজন। তার মধ্যেই এই আগুন লাগায় গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখে অকুস্থলে পৌঁছেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
রাজভবন থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বিধ্বংসী আগুন লাগল রাজভবনের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। আগুনের লেলিহান শিখায় তোলপাড় ডালহাউসি পাড়া। কারণ বিবাদী বাগ চত্বরে টেলিফোন ভবনের কাছেই একটি বহুতলে আগুন লেগে যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে চলেছে বলে খবর। কালো ধোঁয়ায় এলাকার আকাশ ঢেকে গিয়েছে। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে অনেকে দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করেছেন। এখানে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন এসেছে আগুন নেভাতে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর ছুটি কাটিয়ে আজ বেশিরভাগ মানুষজনই অফিসের পথে। সেখানে খোদ অফিসপাড়ায় এমন বিধ্বংসী আগুন বাস যাতায়াতকে শ্লথ করে দিয়েছে।
এদিকে এই বহুতলে আগুল লাগার খবর পেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও আগুন বাড়তেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দমকল। এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই রাজভবন থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে দেখা যায় রাস্তায় নেমে এই অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতির তদারকি করছেন। যাতে আগুনের কাছে মানুষজন না যান। আর পুলিশ যাতে এলাকা ঘিরে ফেলে। তাহলে দমকলের কাজ করতে অনেকটা সুবিধা হবে। শহরের বুকে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জোর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কোথায় আগুন ঠিক লেগেছে? দমকল সূত্রে খবর, টেলিফোন ভবনের ঠিক পিছনে একটি বহুতল আছে। যেখানে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে সেটির নাম শরাফ হাউস। এখানে বেশ কযেকটি অফিস আছে এবং ব্যাঙ্কও আছে। ওই ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা ক্যান্টিন থেকে আগুন লেগেছে। এমনই অনুমান তাঁদের। যদিও আগুন নেভাতে তাঁরা জোরকদমে কাজ শুরু করেছেন। বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে ক্যান্টিন থেকেই আগুন লেগেছে। কেমন করে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি।