বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর শাসন নীতিকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন নীতিকে এবার ইতিহাসের দুই চরিত্র ‘চাণক্য’ এবং ‘পাণিনি’-র মতো বলে তুলে ধরল তৃণমূল। ওই দুই ঐতিহাসিক চরিত্রের বলে যাওয়া পথেই হেঁটে চলেছেন মমতা বলে বুধবার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পর এখন জাতীয় রাজনীতিতে অমিত শাহকে ‘বিজেপির চাণক্য’ বলা হয়। সিপিএমের অনিল বিশ্বাসও একদা একই তকমা পেয়েছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই বন্ধনীতে নিয়ে এল। বুধবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গে এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের তুলনা টেনে কাকলি দাবি করেন, ‘চাণক্য বলে গিয়েছেন, সুপ্রশাসক তিনিই হবেন, যিনি প্রতি মুহূর্তে মানুষের কথা ভেবে কাজ করবেন। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নীতিকে অনুসরণ করে গিয়েছেন।’কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুলোধনা করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি সবসময় নিজেদের স্বার্থে কাজ করে। ছলে–বলে–কৌশলে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাদের আমলে কোনও উন্নয়ন হয়নি।’ চাণক্যের নীতির সঙ্গে মমতা ও মোদী প্রশাসনের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘সুপ্রশাসক মানুষের স্বার্থের জন্য কী কাজ করবে, তার একটি পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা কর্মে রূপায়িত করার কথাও বলেছিলেন চাণক্য। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদীর কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁর শাসনকালে ভারতের অর্থনীতি তলানিতে এসে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর গত ৪৫ বছরে ভারতের অবস্থা এত খারাপ হয়নি। বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিতেও বেকারত্বের হার কমেছে। ৪৩ শতাংশ যুবক–যুবতিদের কাজের সুযোগ পেয়েছে।’মমতার শাসননীতি প্রসঙ্গে চাণক্যের পাশাপাশি ভাষাবিদ পাণিনির কথাও তুলেছেন কাকলি। তাঁর মতে, পাণিনি যে আঞ্চলিক, নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা ও উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই নীতিই অবলম্বন করেছেন। কাকলির কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী ভাষায় পড়াশোনার জন্য কলেজ করেছেন। পাঠ্যবইতে অলচিকি লিপি নথিভুক্ত করেছে।’