২০১১ সাল থেকে বিরোধী আসনে বসে আছে এই রাজ্যের লালপার্টি সিপিএম। যতগুলি নির্বাচন এসেছে তাতে নেমে এসেছে শুধুই শূন্যতা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের ভরসা খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষজন। আর তাই মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় করতে হচ্ছে রবিবারের ব্রিগেড। মাঠ ভরবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও কলকাতার রাজপথ যে প্লাবিত হবে সেটা বাম নেতারা মনে করছেন। আর তাই ব্রিগেড সমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করতে শেষবেলায় ঝড়ের গতিতে চলছে সভা, মিটিং, মিছিল, গণ কনভেনশন, দেওয়াল লিখন এবং বাড়ি বাড়ি প্রচার। সিটু, কৃষকসভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, বস্তি উন্নয়ন সমিতি’র ডাকে সংখ্যা কত হবে সেটাই দেখার।
এদিকে সাজ সাজ রব শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনও খামতি রাখতে চান না বাম নেতারা। বামফ্রন্টের অন্তর্গত সব দলের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত থাকবেন। তার মধ্যে বড় শরিক সিপিএমের উপস্থিতি বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। ইতিমধ্যেই প্রচার করতে শুরু করেছে তারা, তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপি জাত ধর্মের জিগির তুলে ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতি করছে। মেহনতি মানুষের জীবন যন্ত্রণাকে দেখছে না। শোষণ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলছে। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে ব্যানার ফেস্টুনে শহর সেজে উঠেছে। তবে যদি মাঠ না ভরে তাহলে এই ব্রিগেড সমাবেশকে সফল বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ‘হ্যাপিনেস গ্যারান্টি প্রোগ্রাম’ চালু করল কলকাতা পুলিশ, ফোর্সের অফিসার কর্মীদের স্ট্রেস কমাতে
অন্যদিকে ব্রিগেড সমাবেশে মাঠ যাতে ভরে তার জন্য বেশ কয়েকদিন আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁপিযে পড়েছে সিপিএম ডিজিটাল। নেটপাড়া থেকে নেটাগরিক যাঁরা তাঁদের ব্রিগেডের মাঠে নামাতে চাইছে তারা। তাই প্রচারে বলা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গের চা বাগানের অসংখ্য শ্রমিক ট্রেনে চেপে আসার অপেক্ষায়। সুন্দরবনের অত্যন্ত প্রান্তিক এলাকার মৎস্যজীবী, মধুমৌলিরাও আসছেন। আবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রামের আদিবাসী মানুষ, পাথর খাদান এলাকার মানুষ, জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা এমনকী কৃষক, খেতমজুররাও আসছেন। আপনারাও আসুন।