শুধু চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেই থেমে থাকেনি সে। ভারতে এসেই হাত মিলিয়েছিল জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে। মোটা টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট, আধার কার্ড, প্যান-সহ সরকারি পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত ভুয়ো নথিপত্র দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছিল সেই বাংলাদেশি যুবক। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। (আরও পড়ুন: ভারত সীমান্ত নিয়ে বড় বার্তা বাংলাদেশ সেনার,শোনা গিয়েছিল সংঘাতের ষড়যন্ত্রের কথা)
আরও পড়ুন: কালীঘাটে ধৃত বাংলাদেশি কীভাবে পেলেন ‘খাঁটি ভারতীয়’ ড্রাইভিং লাইসেন্স?
আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই যুবকের নাম নাজিবুর রহমান ওরফে পাভেল। বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ-র বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা রায় ঘোষণা করেন। বিচারক জানান, একাধিক ধারায় দোষ প্রমাণিত হলেও, সব সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হবে।এনআইএ-র কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ জানান, নাজিবুর অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে এবং এরপরই পরিচয়পত্র জাল করার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করে। মোটা টাকার বিনিময়ে নকল কাগজপত্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট, আধার, প্যান কার্ড বানিয়ে দিত। এই কাজের জন্য সে নিজেই একাধিক ভুয়ো নথি বানিয়েছিল। (আরও পড়ুন: ইউনুস প্রশাসনে ভরসা নেই? বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর বড় বয়ানে উঠল প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি যে 'অবান্তর' তা স্পষ্ট হল পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর কথাতেই
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে নাজিবুর। তাকে জেরা করে চক্রের আরও তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল সংখ্যক নকল নথিপত্র, জাল কাগজ এবং নথি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ। এই চক্রটি মূলত কাজ করত উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক সীমান্তবর্তী জেলায়। এমনকি, তদন্তে উঠে আসে যে তারা কলকাতা শহরেও এই কার্যকলাপ ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। (আরও পড়ুন: মিসাইলের কাছে ফেল আয়রন ডোম! ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে কে কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে?)
আরও পড়ুন: খামেনির এত ক্ষমতা এল কীভাবে? রইল ইরানের সর্বোচ্চ নেতার শাসনকালের কিছু তথ্য
প্রথমে মামলার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। কিন্তু পরে এই ঘটনার গুরুত্ব বাড়তে থাকায় তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। এনআইএ প্রমাণসহ চার্জশিট পেশ করে আদালতে। শুনানির সময় নাজিবুর নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় আদালতের সামনে। বিচারক সমস্ত প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রায় দেন এবং তাঁকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অনুপ্রবেশসহ বেআইনি নথিপত্র তৈরি এবং অন্যান্য ধারাতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও বিচারপর্ব চলছে।