রমরম করে শুরু হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। মঙ্গলবারই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছেন। সেখানে জার্মানি এবার থিম কান্ট্রি। ৪৮তম কলকাতা বইমেলায় অবশ্য মুক্তমনাদের ক্ষেত্রে দুঃখের খবর রয়েছে। একদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা, অপরদিকে বাংলাদেশের জ্বলন্ত পরিস্থিতি— এই দুই ঘটনা নিয়ে বইমেলার মুক্তমঞ্চে সোচ্চার হবেন ভেবেছিলেন মুক্তমনারা। অর্থাৎ যাঁরা মুক্ত মনে নিজের মতামত যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ–সহ তুলে ধরে বিতর্কে অংশ নেন। কিন্তু এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় রাখাই হল না মুক্তমঞ্চ।
এটাই মুক্তমনাদের কাছে দুঃখের খবর। প্রত্যেক বছর কলকাতার বইমেলায় দু’টি মুক্তমঞ্চ থাকে। কিন্তু ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় একটিও নেই। আর এটাই দুঃখের খবর। কিন্তু কেন নেই মুক্তমঞ্চ? উঠছে প্রশ্ন। যদিও পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের দাবি, বইমেলা প্রাঙ্গণে যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় তার জন্যই গড়ে তোলা হয়নি মুক্তমঞ্চ। ভবিষ্যতেও এই সিদ্ধান্তের বদল হবে না। কারণ বইমেলা প্রাঙ্গণ বিপ্লবের জায়গা নয়। বইপ্রেমীরা এসব পছন্দও করেন না। যদিও অনুষ্ঠানের জন্য বিকল্প একটি ঘেরা মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে মুক্তমনারা হতাশ।
আরও পড়ুন: রিসর্টের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ল গজরাজ, প্রাণ হাতে করে পালালেন পর্যটকরা
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের এই পদক্ষেপে অনেকে চটলেও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাই চর্চিত বিষয়। এই বছর এখানে বাংলাদেশের স্টল নেই। তাই জোর বিতর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন অনেকে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখনও সেই ঘটনার রেশ সম্পূর্ণ কাটেনি। সুতরাং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মুক্তমঞ্চে আলোচনা হোক চাননি পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড কর্তৃপক্ষ। বইমেলার মুক্তমঞ্চে এসব নিয়ে তপ্ত পরিবেশ গড়ে উঠুক চায়নি গিল্ড। তাই পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতেই এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন মুক্তমনারা।