এক অর্থবর্ষে একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য কোনও সংস্থা কেব্ল বসাতে আবেদন করেছিল ধরা যাক। সেই বছরের খরচের হারে ডিমান্ড বেরিয়েছিল কলকাতা পুরসভা থেকে। কিন্তু পরের বছর দর পাল্টে যাওয়ায় একই সংস্থার একই কাজের জন্য ডিমান্ড বের হয়। সুতরাং ডুপ্লিকেট ডিমান্ড রয়ে গিয়েছে পুরসভার তথ্যে।
কলকাতা পুরসভা
কলকাতা পুরসভায় এবার ৪৭ কোটি টাকার হিসাব বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে খবর। খোঁজ নিয়ে পুরসভার অফিসাররা জানতে পেরেছেন ঠিক সময়ে কম্পিউটার আপডেট না করার জন্য এই ৪৭ কোটি টাকার ভুল হিসাব দেখাচ্ছে। যা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাই এই ভুল সংশোধন করার জন্য এবার পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। তাই কলকাতা পুরসভা নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে দায়িত্ব দিয়েছে সব দফতর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টি আপডেট করতে। আর যাতে এমন ভুল না হয় সেটা আটকাতেও উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নানা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের জেরে ফুটপাতে নীচে কেব্ল তার বসাতে আবেদন করে থাকে। পুরসভায় সেই আবেদন জমা দেওয়া নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। কলকাতা পুরসভার মনে হলে সেই আবেদনে সাড়া দেয়। তখন সেটা বরো অফিস থেকে সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে রাস্তা সারাইয়ের খরচও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই খরচের কথা লেখা থাকছে। কিন্তু বহু সংস্থা পরে প্রকল্প বাতিল করলে সেটা কলকাতা পুরসভাকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কম্পিউটারে আপডেট হয়নি। অথচ একই প্রকল্পের অনেক ডিমান্ড রয়েছে।
অন্যদিকে এক অর্থবর্ষে একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য কোনও সংস্থা কেব্ল বসাতে আবেদন করেছিল ধরা যাক। সেই বছরের খরচের হারে ডিমান্ড বেরিয়েছিল কলকাতা পুরসভা থেকে। কিন্তু পরের বছর দর পাল্টে যাওয়ায় একই সংস্থার একই কাজের জন্য ডিমান্ড বের হয়। সুতরাং ডুপ্লিকেট ডিমান্ড রয়ে গিয়েছে পুরসভার তথ্যে। এখন সেগুলি হিসাব ওলটপালট করে দিচ্ছে। এখন ওলটপালট হয়ে যাওয়ার পর মোট অর্থ বিভ্রাটের অঙ্ক ৪৭ কোটি টাকা। সুতরাং এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সব ডিমান্ড বাতিল করা হবে।
এছাড়া এই সময়কালে ৩৮৮৩টি ডিমান্ড বাতিল করা হয়েছে। যার মোট আর্থিক পরিমাণ ৩৬৭.২৭ কোটি টাকা। সিইএসসি, রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল এবং রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার ডুপ্লিকেট ডিমান্ডের সন্ধান মিলেছে। এদের সম্মিলিত অর্থের পরিমাণ ৪ কোটি টাকা। আবার প্রকল্প বাতিল করার ক্ষেত্রেও এই সংস্থাগুলি রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টাটা কমিউনিকেশনস এবং বিএসএনএল। বাতিল করা প্রকল্পের সংখ্যা ১১১। আর্থিক পরিমাণ ৪২ লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পরই কলকাতা পুরসভার কর্তারা একাধিক দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।