প্রাথমিক ময়নাতদন্তে রিপোর্টে কুকুর ছানাগুলির মৃত্যুর কারণ হিসেবে খাবারে বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে নমুনা সংগ্রহ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শনিবার, পুরসভার আধিকারিকদের দলটি আবাসনের বাসিন্দা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কুকুরছানার মৃত্যুর তদন্তে পুরসভার আধিকারিকরা। প্রতীকী ছবি
জোকায় পাঁচটি কুকুরছানার মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জোকা মেট্রো সংলগ্ন একটি আবাসন চত্বরে দফায় দফায় মোট ৫টি কুকুরছানার দেহ মিলেছে। এই ঘটনায় কুকুরছানাগুলিকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সেই মৃত্যুর তদন্তে এবার ওই আবাসন পরিদর্শন করলেন পুরসভার আধিকারিকরা। শনিবার পুরসভার তরফে একটি দল আবাসন চত্বর খতিয়ে দেখেন।
প্রাথমিক ময়নাতদন্তে রিপোর্টে কুকুর ছানাগুলির মৃত্যুর কারণ হিসেবে খাবারে বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে নমুনা সংগ্রহ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শনিবার, পুরসভার আধিকারিকদের দলটি আবাসনের বাসিন্দা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি সেখানে পথ কুকুরের অবস্থা এবং সংখ্যাও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। যে জায়গা থেকে কুকুরছানাগুলির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে সেই জায়গার ছবি তোলা ছাড়াও নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা আধিকারিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক রাজীব ঘোষ জানান, ‘এই আবাসনের বেশিরভাগ কুকুরকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে এবং টিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা পুর কমিশনারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেব এবং সোমবারের মধ্যে তা পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হবে। যারা এই ধরনের অমানবিক কাজ করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করব।’