আর একটা দিন মাঝে বাকি। তারপরই ছটপুজো। তারিখটা ২০ নভেম্বর৷ এই পুজো উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র সরোবরে আর ফুল–মালা ভাসিয়ে পুজো করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। এই পরিস্থিতিতে পুণ্যার্থীদের জন্য কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা৷ তাতে খানিকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটবে। এই কাজ কেএমডিএ ও কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে করছে৷ এই বছর বেশি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর৷কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, করোনা আবহে এই বছর কলকাতায় গত বছরের তুলনায় বেশি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ৫৫টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হচ্ছে৷ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, ছটপুজোয় পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় তার জন্য গঙ্গার ঘাট ও কৃত্রিম জলাশয়গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সব ঘাটে মাস্ক বিলি করা হবে৷ঘাটগুলিতে শৌচালয় এবং মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের আলাদা জায়গা করা হচ্ছে৷ ঘাটে থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও৷ সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে কিনা, বিশেষ নজরদারি চলবে৷ পরিবেশ আদালতের কাছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তথা কেএমডিএ আবেদন করেছিল, শর্ত সাপেক্ষে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক রবীন্দ্র সরোবরে। কিন্তু কেএমডিএ’র আর্জি খারিজ করে দেয় পরিবেশ আদালত। রাজ্য সরকার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সপ্তাহে তাঁরা মামলাটি শুনবেন। অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর শুনানি হতে পারে। তার আগে ২০ নভেম্বরই ছটপুজো।উল্লেখ্য, ১৯২০ সালে ব্রিটিশদের হাতে গড়ে ওঠা এই রবীন্দ্র সরোবরকে জাতীয় সরোবর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কলকাতার ফুসফুসের একটি দিক হল এই সরোবর, আর একটি দিক ময়দান।