দিলীপ ঘোষ গিয়েছিলেন জগন্নাথধামে। এতটা পর্যন্ত তবু কিছুটা ঠিক ছিল। কিন্তু দেখা যায় দিলীপ ঘোষ একেবারে সস্ত্রীক বসে রয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশে। শুধু বসে থাকলেন না রীতিমতো হেসে হেসে গল্পও করলেন। এই ছবি দেখে চটে লাল বিজেপির নীচুতলার কর্মী থেকে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
তবে কয়েকজন আবার বিষয়টিকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তবে তাতে অবশ্য দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কমছে না। দলের সাধারণ কর্মীরাও তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন। এমনকী দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলেও ইতিমধ্য়েই বিজেপির অন্দরে নানা গুঞ্জন হতে শুরু করেছে। তবে বিষয়টি আমল দিতে রাজি নন খোদ দিলীপ ঘোষ।
তিনি জানিয়েছেন, দিলীপ ঘোষের মিশন ঠিক আছে। দিলীপ ঘোষ পালটাবে না। দিলীপ ঘোষের নীতি পালটাবে না। আমি বাংলায় পালটাতে এসেছি। যাঁরা পার্টির জন্য কখনও আত্মত্যাগ করেননি তাঁরা বুঝবেন না দিলীপ ঘোষ কী, বিজেপি কী!
এদিকে মে দিবসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। রীতিমতো মেজাজ হারান দিলীপ। দিলীপ বলেন, অনুগামী! দাঁড়াও আমি দেখছি। আমাকে বিজেপি শেখাচ্ছে। কোলাঘাটে দিলীপ ঘোষকে দেখেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। ভেস্তে যায় চা চক্র।
তবে দিলীপের সামনে বিক্ষোভ শুরু হতেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন স্ত্রী। রিঙ্কু মজুমদার। তবে তাঁর সামনে অন্তত বিজেপি কর্মীরা সংযত আচরণ করেন।তাঁকে চলে যাওয়ার জন্য় অনুরোধ করেন। বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলতে শুরু করেন, দাদা অপরাধ করেছেন। কিন্তু আপনি চলে যান।
রিঙ্কু বলেন, পার্টির মধ্য়ে এখন তিনটি লাইন চলছে।
বিজেপির সাধারণ কর্মীরা বলেন, কোথাও কোনও লাইন নেই। আপনি চলে যান।
তবে দলের অন্দরে বিরাট ক্ষোভের মুখে যখন দিলীপ তখন কিন্তু তাঁর স্ত্রী পাশেই রয়েছেন। রিঙ্কু মজুমদার। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী তথা দিলীপের স্ত্রী। তিনিও গিয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে জগন্নাথধামে।
এদিকে এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে রিঙ্কু জানিয়েছেন, উনি( দিলীপ ঘোষ) ব্যতিক্রমী। বড় বড় নেতামন্ত্রীদের থেকেও আলাদা উনি। সেই কারণেই এত জনপ্রিয়তা ওঁর। আমি আসলে বারণই করেছিলাম। ২৪ ঘণ্টা আগেও বারণ করি( দিঘার জগন্নাথধামে যেতে)। বলেছিলাম না গেলেই ভালো হয়। কিন্তু ওঁর ইচ্ছে ছিল। আমি ওঁর সঙ্গে আছি।
মমতার সঙ্গে কী কথা হল সেই প্রসঙ্গে রিঙকু জানিয়েছেন, কথা আর কী হবে!নেহাতই সৌজন্যতা। কারও সঙ্গে কথা বললেই কি আদর্শ পালটে যায়।কখনও নয়। তাও আবার আমাদের মতো মানুষের কোনও দিন পালটাবে না। এলাকাতেও বিরোধীদের সঙ্গে সৌজন্যের খাতিরে কথা বলি আমরা।
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপিতে ইম্পোর্টেড প্রবলেমটা তাদেরই বেশি। দেখুন তারাই বেশি প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যাদের নিজেদের একাধিক আদর্শ ছিল আমাদের একটাই আদর্শ। আমি সিপিএম, তৃণমূল বা কংগ্রেস থেকে আসিনি।