২০২২–২৩ সালে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর বরাদ্দ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার করেছিল ১১০০ কোটি টাকা। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত গোটা প্রকল্প শেষ করতে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। কিন্তু তা হয়নি বৌবাজার এলাকায় ধস নামায়। চলতি অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা।
ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো
এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড পেয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। সুতরাং প্রকল্পের কাজে গতি আসা উচিত। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ এই টাকায় কাজ কি শেষ হবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা, মেট্রো চলাচল করলেও হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে মহাকরণ স্পর্শ করে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পূর্ণ। বাকি কাজ চলতি বছরেই শেষ করতে চায় রেল। কিন্তু বৌবাজার গলার কাঁটা হওয়ায় প্রকল্প শেষ নিয়ে দ্বিধা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে ২০২২–২৩ সালে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর বরাদ্দ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার করেছিল ১১০০ কোটি টাকা। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত গোটা প্রকল্প শেষ করতে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। কিন্তু তা হয়নি বৌবাজার এলাকায় ধস নামায়। চলতি অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা।
এই বিষয়ে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী’। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এসপ্লানেড থেকে শিয়ালদার মধ্যে মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের একাধিক কাজ বাকি। আর সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারের ইমারজেন্সি এভাকুয়েশন শ্যাফট নিয়েও সংশয় আছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, বরাদ্দকৃত ১০০০ কোটি টাকায় কাজ শেষ হবে তো? তবে আরভিএনএল–এর এক আধিকারিক বলেন, ‘জোকা–এসপ্ল্যানেড প্রকল্পের জন্য মাঝেরহাটে একটা স্টপেজ করা হবে এই বছর পুজোর মধ্যে। আর চেষ্টা করা হচ্ছে নিউ গড়িয়া–এয়ারপোর্ট ভায়া রুবি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করতে।’