বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে ছুরির কোপ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বদলে শালিসি সভায় ছাত্রীকে মিটমাট করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশকে চরম ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার তদন্তভার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে তুলে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আরও পড়ুন - প্রাথমিক দুর্নীতির ৩০ কোটি টাকা ঢুকেছে প্রভাবশালীর কোম্পানিতে, আদালতকে জানাল CBI
পড়তে থাকুন - ‘সন্দেশখালির কালি মুছতে….’ ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ মালব্যর
ঘটনা হুগলির চণ্ডীতলা থানার শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের। মামলাকারী ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর ওপর বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছিল স্থানীয় এক যুবক। তিনি প্রস্তাবে রাজি হননি। এর পরই ছাত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় ওই যুবক। যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে উলটে ছাত্রীকেই শালিসি সভায় মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা।
এর পর কলকাতার হাজারা ল’ কলেজে ভর্তি হন তিনি। অভিযোগ, সেখানে এসে ফের তাঁকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে অভিযুক্ত। এর পর হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করেন তিনি।
আরও পড়ুন - ফ্যাসিবাদের চরম, রাজভবনে ঢুকতে বাধা পেয়ে বললেন শুভেন্দু, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
এই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচাকরপতি সিনহা হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন। এর পর এই মামলার তদন্তভার তুলে দেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ওপরে। চন্দননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার বা ওই পুলিশ জেলার কোনও পুলিশ আধিকারিক তদন্তে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
এব্যাপারে হুগলির পুলিশ সুপারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।