দুপুরে এসেছিল ট্রেন দুর্ঘটনার খবর। তা নিয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয় যাত্রীদের। অনেককেই দেখা যায় রেললাইন ধরে হাঁটতে। আর সেই ভোগান্তির রেশ পৌঁছাল সন্ধ্যাবেলাতেও। অফিস ফেরৎ যাত্রীদেরও চূড়ান্ত নাকাল হতে হল।সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে একাধিক ট্রেনের ঘোষণাই হয়নি।অফিস ফেরৎ যাত্রীরা বাড়ি ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। আর সেই সময়ই চূড়ান্ত ভোগান্তি। বার বার মোবাইলে ঘড়ি দেখাই সার। ট্রেনের খবর আর হয় না।বনগাঁ লোকাল, মাতৃভূমি রানাঘাট লোকালও সময়ে ছাড়েনি বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?সূত্রের খবর, আসলে ডাউনের একাধিক ট্রেন সময়মতো শিয়ালদায় এসে পৌঁছায়নি। যার জেরে আপের ট্রেনগুলি ছাড়তে পারেননি সময়মতো। আর তার জেরেই বিভ্রাটের সূত্রপাত।তবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দুপুর ২টো ১০ মিনিটে শিয়ালদা থেকে সমস্ত লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।এদিকে যাত্রীদের দাবি রেল জানিয়েছে সমস্যা নেই। এরপরেও যাত্রীদের প্রশ্ন তাহলে সন্ধ্যার শিয়ালদায় এই ভোগান্তি কেন? কিন্তু দুপুরের দুর্ঘটনার জেরেই সন্ধ্যায় যাত্রীদের ভোগান্তি হল কি না সেটা অবশ্য় পরিষ্কার নয়।রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কারশেডগামী ফাঁকা ট্রেন ও রানাঘাটগামী যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্য়ে পাশাপাশি ধাক্কা লেগেছিল। কারশেডের গাড়ির চালকের ভুলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কি না তা রেল তদন্ত করে দেখছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, দুপুরের দুর্ঘটনার জেরে ঘণ্টা দুয়েক ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছিল। পরে রেল লাইন থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেকগুলিকে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু তারপরেও ভোগান্তি কমল না রেলযাত্রীদের।