কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছর বয়সী ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ২ ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আলিপুর আদালত। শুক্রবার আলিপুর আদালতের পকসো আদালতের বিচারক ধর্ষক মহম্মদ মফিজুল ও অভিষেক রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার পরিবার।২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে ধর্ষণের শিকার হয় ৪ বছর বয়সী এক ছাত্রী। অভিষেক রায় ও মহম্মদ মফিজুল নামে ২ শারীরশিক্ষার শিক্ষক শিশুটিকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শৌচাগারে নিয়ে যায়। শিশুটির বাবা জানান, এর পর শিশুটিকে পর্ন ছবি দেখানো হয়। খুলে ফেলা হয় শিশুর অন্তর্বাস। এর পর শিশুর যোনিতে আঙুল ঢোকান এক শিক্ষক। যার জেরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্কুলে গিয়ে তিনি দেখেন মেয়ে শৌচাগারে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। পোশাকে রক্তের দাগ। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তবে প্রথমে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।ওদিকে স্কুলের মধ্যে চার বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন অন্য ছাত্রীর অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। গ্রেফতার হয় মফিজুল ও অভিষেক। দীর্ঘ ৫ বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর গত ২৯ মার্চ অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন তিনি। সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।