
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
নেশায় আসক্ত ছিলেন মেয়ে। এবার সেই মেয়েকে কার্যত জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্রে দিয়ে এসেছেন বাবা। এনিয়ে তীব্র আপত্তি সেই তরুণীর বন্ধুদের। সোমবার যাদবপুর থানার সামনে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাদের দাবি, এভাবে কোনও তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া যায় না। তবে তার পরিবারের দাবি, ওই তরুণী নেশা থেকে মুক্তির জন্য কোথাও ভর্তি হতে চাইতেন না। সেকারণে জোর করে ভর্তি করা হয়েছে। তার বন্ধুদের দাবি, পরিবার ও পুলিশের সহযোগিতায় এই কাজ করা হয়েছে।এভাবে জোর করা যায় না।
তবে ওই তরুণীর বাবার দাবি, মেয়ে নেশা করত। ব্যাগেও নানা ধরনের নেশার সামগ্রী করাত। চিকিৎসা করাত না। একেবারে শুকিয়ে যাচ্ছিল। সেকারণেই ওই ভাবে নিয়ে যেতে হয়েছে। কীভাবে নিয়ে যেতে হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তার বন্ধুরা। তাদের দাবি, ওই তরুণী একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যা। তাঁকে এভাবে নিয়ে যাওয়া কোনওভাবেই উচিত হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় তারা ওই তরুণীর খোঁজ করছেন।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, কাউকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, আইন মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এক বন্ধুর সঙ্গে যাদবপুরের বিক্রমগড়ে এক বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন ওই তরুণী। তাঁর সেই বন্ধুও এব্যাপারে সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, পুলিশ আইন ভেঙে আমাদের বন্ধুকে তার মতামত ছাড়াই নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠাতে সহায়তা করেছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে পুলিশ এই আচরণ করতে পারে না। এরপরে তো তাকে মানসিক রোগী প্রমাণিত করার চেষ্টা করা হবে।
তবে ওই তরুণীর পরিবার অবশ্য একেবারেই বলতে চাইছে না তারা মেয়েকে কোন নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। তাকে কলকাতার বাইরে কোনও নেশা মুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যাদবপুর থানার সামনে থেকে কার্যত তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। এদিকে মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, এভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের জোর করে কোনও নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই এটা করাটা যুক্তিসংগত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports