হাওড়া-রাঁচি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর কথা থাকলেও তার রুট এখনও ঠিক হয়নি। রেলের কোন জোনে কটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে তা ঠিক করবে রেল বোর্ড। তবে ভবিষ্যতে যদি হাওড়ার রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে হাওড়া স্টেশনের উপর চাপ কমানো প্রয়োজন রয়েছে।সেই কথা মাথায় রেখে ডানকুনি থেকে বন্দে ভারতের মতো সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। এরজন্য সেখানে আধুনিক ট্রেন সেট রক্ষণাবেক্ষণসহ সব রকমের কোচ এবং ইন্টিগ্রেটেড কোচিং টার্মিনালের নির্মাণের প্রয়োজন। এ বিষয়ে রেল বোর্ডকে প্রস্তাব দিয়েছে পূর্ব রেল। পরিকল্পনা রয়েছে ডানকুনিতে নতুন যে টার্মিনাল তৈরি করা হবে তাতে আরও অত্যাধুনিক ট্রেন যেমন এলএইচবি, আইসিএফ, এমইএমইউ, ইএমইউ-সহ সব ধরনের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ওই প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য ৪৩০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর আগের বাজেটে এই কথা ঘোষণা করা হলেও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। তবে এবারের বাজেটে এই প্রকল্প শুরু করার জন্য ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, এই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই। তার আগে এই কাজের জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরি করা হবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে এই পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা যে ডানকুনি থেকেই এই ট্রেন চালাতে চাইছি সে বিষয়টিতে আমরা রেল বোর্ডকে জানিয়েছি।’পূর্ব রেলের আধিকারিকরা মনে করছেন, ডানকুনিতে অত্যাধুনিক টার্মিনাল তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। তাছাড়া, শিয়ালদা বা হাওড়া স্টেশন থেকে ডানকুনির দূরত্ব খুব বেশি নয়। ফলে সেখানে এই রেলের টার্মিনাল তৈরি করা সম্ভব হলে শিয়ালদা এবং হাওরা টেশনের উপর চাপ কমবে। বন্দে ভারতে যেহেতু একটি সেমি হাই স্পিড ট্রেন, তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকবে। এর জন্য ট্রাক থেকে শুরু করে সিগনালিং ব্যবস্থা, ওভারহেড কেবল সবকিছুই পরিবর্তন করতে হবে। পূর্ব রেলের আশা, ২০২৪ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।