লাল রঙের হেলমেট পরেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি নাকি পুলিশের এক হোমগার্ড। তাকে টেনে এক চড় মারার অভিযোগ উঠেছে বামেদের যুব কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত একটি ছবি ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তবে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এদিকে এই ঘটনা একেবারে মানতে চাননি মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়, ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক।
বুধবার হাওড়া জেলা পরিষদ অভিযানে নেমেছিলেন বামেরা। তা নিয়ে একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ আটকালে পালটা ফুঁসে ওঠে বামেরা। সব মিলিয়ে একেবারে উত্তেজনার পরিস্থিতি। লাল পতাকায় একেবারে ছেয়ে গিয়েছিল এলাকা। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনর চেষ্টা করেন ডিওয়াইএফ কর্মী সমর্থকরা। মূলত বঙ্কিম ব্রিজের নীচে মিছিল আটকে দিয়েছিল পুলিশ। এরপরই সামনের দিকে এগোনর জন্য় মরিয়া চেষ্টা বাম কর্মীদের। পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ স্তরে যে সমস্ত দুর্নীতি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এদিন এই কর্মসূচি ছিল বামেদের। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বামেরা। তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে। আর তখনই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে।
এদিকে বাম কর্মীরা ব্যারিকেডের উপর উঠে পড়ে। পুলিশ তাদের নামাতে গিয়ে একেবারে সমস্যায় পড়ে যায়। সেই টানাটানির মধ্যেই এক পুলিশকর্মীকে ধরে টেনে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। তবে এনিয়ে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কেউ যুক্ত নয়। তারা এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কে এই সুযোগে পুলিশকে এভাবে টেনে চড় মেরে দিল?
তবে পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কয়েকজন প্রতিনিধি স্মারকলিপি জমা দেন। আন্দোলনকারীদের দাবি সীমাহীন দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে জেলা পরিষদ। তারই প্রতিবাদে নেমেছিলেন তারা। তবে এদিন চড় মারার ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সংগঠনের কেউ যুক্ত নয়। তবে সূত্রের খবর, ওই পুলিশ কর্মী সিভিল ড্রেসে ছিলেন। মাথায় হেলমেট ছিল। সম্ভবত বুঝতে না পেরেই ব্যারিকেডের কাছে উত্তেজনতা বশত তাকে কেউ চড় মেরেছে। তবে এনিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু স্বীকার করতে চায়নি বাম নেতৃত্ব।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক