গতকালই পুরভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য বিজেপি। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে বিঁধেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। শুক্রবার ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চালায় রাজ্য সরকার। সেই কারণে আদালতে মামলা চলার সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের ইচ্ছেমতোই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন।'
যদিও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, যেহেতু পুরভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বা কোনও নির্দেশ জারি করেনি ফলে সেক্ষেত্রে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে বিরোধীরা সমস্ত পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবি প্রথম থেকেই তুলে আসছেন। গত মঙ্গলবারের বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সেই বার্তাই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নির্বাচন কমিশনকে নিজের কর্তব্য ও দায়িত্ব কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, পুরভোট নিয়ে মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট নিয়ে মামলা চলছে। আর এদিকে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেল। আসলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য সরকার চালায়। তাই রাজ্য সরকারের ইচ্ছা মতোই কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এটা চিন্তার বিষয়। তাহলে তো কোর্ট-কাছারি থাকার কোনও মানে হল না। '
একইসঙ্গে কলকাতায় পুরভোটে তৃণমূল জিততে পারবেনা বলেই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, 'তৃণমূল ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে যে কলকাতা পুরসভায় জেতাটা তাদের পক্ষে চাপের বিষয়। যে করেই হোক পুরভোটে জিততে হবে তাদের। সেই কারণে আদালতে মামলা চলা সত্ত্বেও পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন।'
যদিও গতকাল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, 'রাজ্যের পুরভোটে তৃণমূলেরই জয় হবে। তৃণমূল সারা বছর মানুষের হয়ে কাজ করে। মানুষের পাশে থাকে। তাই সাধারণ মানুষও তৃণমূলের পাশেই থাকবে' বলে তিনি দাবি করেছিলেন। একই সঙ্গে বিজেপি পুরভোট নিয়ে ভয় পাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।