আজ বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আর সেদিকে তাকিয়ে আছেন গোটা বাংলার মানুষ। দিঘায় এখন জোর তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে ভিভিআইপি’রা পৌঁছে গিয়েছেন। আর তার মধ্যে একাংশ নেতা–মন্ত্রীর ফেসবুকের ডিসপ্লে পিকচারে (ডিপি) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে ‘জয় জগন্নাথ’ লেখা হয়েছে। এটা অবশ্য খুব স্বাভাবিক। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই আজ এই জগন্নাথ মন্দির। সুতরাং পুরীর মতোই দিঘাতেই সমুদ্রের সঙ্গে মিলবে আধ্যত্মিকতা। কিন্তু সিপিএমের ফেসবুক ডিপিতে দেখা যাচ্ছে, বরফ ডাকা পর্বত এবং সাদা কাস্তে হাতুড়ির সঙ্গে উড়ছে সাদা পায়রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই ধরনের ডিপি দেখতে পেয়েছেন নেটাগরিকরা।
এই ডিপি দেখে অবশ্যই কমেন্টের ঝড় বয়েছে। কিন্তু তাতে সিপিএমের কিছু যায় আসে না। কারণ সিপিএম নেতারা মনে করেন, ‘আমার যেমন বেনি তেমনি রবে চুল ভেজাবো না।’ অর্থাৎ তাঁরা যেটা মনে করেছেন সেটাই ঠিক। এই পরিবর্তন বঙ্গ–সিপিএমের বেশ সমালোচিত হয়েছে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ফেসবুক ডিপিতে এবং প্রোফাইল পিকচারে ‘জয় জগন্নাথ’ বার্তা আপলোড হয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ থেকে উত্তর কলকাতার কাউন্সিলার কাকলি সেন সকলেই ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডলে ‘জয় জগন্নাথ’ বার্তা দিযেছেন।
আরও পড়ুন: আজ থেকে গরমের ছুটি রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে, উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস
বঙ্গ–সিপিএমের অঙ্গ শোভায় অর্থাৎ অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের ডিপিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা কাস্তে হাতুড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উড়ন্ত পায়রা। এই ফেসবুক পেজের প্রোফাইলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের প্রতীকী স্কেচও পোস্ট করা হয়েছে। আর প্রোফাইল পিকচারে তেরঙ্গার ত্রিবর্ণ রঙও রয়েছে। আসলে সিপিএম এখন শান্তির বার্তা দিতে চেয়ে এটা করেছে। জঙ্গি হামলায় দেশের মাটি তপ্ত। তাই শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘নন্দীগ্রাম–সিঙ্গুরের সময় কাস্তে হাতুড়ির পাশে কেন পায়রা দেখা যায়নি? রাজ্যে সিপিএম ৩৪ বছর অশান্তি করেছে। তাই তাদের ফেসবুক ডিপিতে শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা খাপ খায় না।’