রাজ্য সরকার সাধারণ মেয়েদের চাহিদা পূরণের শর্তে কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে এসেছে। রাজ্যের সকল দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে কোনও আর্থিক সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনায় খরচ করার জন্য বছরে ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ বছরের পরেও যে সব ছাত্রীরা অবিবাহিত থাকে তাদেরকেও এককালীন দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু এবার দেখা গেল এই ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’ ভাল বলেও তৃণমূল কংগ্রেসকে খারাপ বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিকে বেশ কয়েকজন নারী আছেন যাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আবার এক বা একাধিক সন্তান আছে। কিন্তু তাঁরাই আবার ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন বা আবেদন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কাণ্ড ব্লক অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মীদের মদতে চলছে চক্র বলে অভিযোগ। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আগাম টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। আর তাই বাতিল করা হচ্ছে বহু আবেদনপত্র। ইতিমধ্যেই সরকারি দুই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আর তদন্ত করছেন বিডিও। দ্রুত জেলাশাসককে তদন্ত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে ৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন আইটি কর্মী, আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের, ভর্তি হাসপাতালে
অন্যদিকে এমন ঘটনার জেরেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তৃণমূল কংগ্রেসকে খারাপ বলছেন। তবে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে ভাল বলছেন। যদিও এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয় বলে শাসকদলের দাবি। যদিও মহম্মদ সেলিমের মন্তব্যের পর অনেকের প্রশ্ন, এটা কি বিলম্বিত বোধোদয়? বৃহস্পতিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি প্রকল্প কন্যাশ্রীকে ভাল বলেছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তুমুল সমালোচনা করেছেন। মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘কন্যাশ্রীর মতো ভাল প্রকল্প তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে পড়লে কী হয়, তার প্রমাণ ড্রপআউট।’
ওইদিনই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিরোধীদের কার্যকলাপ নিয়ে তুলোধনা করেন তিনি। তবে কোনও বিরোধী দলের নাম করেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দেশের কোনও নেতা দেশের বাইরে গেলে আমরা তাঁদের অপদস্থ করি না। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখানে গণশত্রু রয়েছে। আমাদের দেশে, বিশেষ করে আমাদের রাজ্যে, তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, ইমেলে নোংরা খেলা খেলে। বিদেশে মেল করে বাংলাকে খারাপ বলা, আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ সবই করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাকে আক্রমণ কেন? তবে ঈর্ষার কোনও ওষুধ হয় না।’