আনিস খান হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। তার মধ্যেই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনিস খানের বাবা সালেম খান সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা সিট–এর উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বার পুলিশ গিয়েছিল ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু তা করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে দু’জন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এই খবর দিতেই আনিসের পরিবার অনেকটা ভরসা করতে শুরু করেছেন।
বুধবার আবার আনিস খানের আমতার বাড়িতে যান সিটের তদন্তকারীরা। মৃত ছাত্রনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তে গড়মিলের অভিযোগ করা হচ্ছিল। এবার তদন্তকারীরাও আনিসের নখের নমুনা সংগ্রহ করতে চান। তাই আনিসের পরিবারকে কাছে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রস্তাব দেয় সিট। তবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে আনিস খানের বাবা বলেন, ‘এই সিটকে তো আমি কেসই দিচ্ছি না। এদের হাতে আবার ময়নাতদন্ত করাবো কেন? এরাই তো প্রথমবার ময়নাতদন্ত করেছিল আমি না থাকায়। সিবিআইয়ের হাতেই আমি নতুন করে ময়নাতদন্ত করাবো আদালতকে দিয়ে। এরা কাজের কাজ করছে না। এরা কাজের কাজ করলে আসামি ধরত।’
আজ, আনিসের বাবা এই কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পুলিশের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে সিট কাজ করছে সাটা কার্যত প্রমাণিত। এই বিষয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। যেহেতু পুলিশের নামে অভিযোগ উঠেছে, তাই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীরা তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে না পারেন। আইন আইনের পথে চলবে।’ হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।