নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব নিজে নিতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, সোমবার তাঁর সেই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, নন্দীগ্রামে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে সেটিং করেছিলেন শুভেন্দু। গুলি চলার সময় ৭ দিন ঘর থেকে বেরোয়নি ওরা। যদিও এই নিয়ে এখনও শুভেন্দুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শুভেন্দু অধিকারী আগে দাবি করেছিলেন, নন্দীগ্রামে গণহত্যার দিন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে তাঁদের বাড়িতেই রাত কাটিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পাল্টা নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিলেন না শুভেন্দুই। তৎকালীন তমলুকের সাংসদ এবং সিপিএমের দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিধানসভার অধিবেশন। প্রথমে বক্তব্য় রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন বিরোধী দলনেতা। স্পিকার তাঁকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি আসন ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। তখন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হয়।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দড়ি টানাটানি শুরু হয়। অধিকারী পরিবার না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে অশান্ত নন্দীগ্রামে ঢোকা সম্ভব হতো না বলে দাবিও করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা শুভেন্দুকে জবাব দিলেও মুখ খোলেননি মমতা। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই পাল্টা নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে শুভেন্দুকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘ওঁর বাবাকে মন্ত্রী করার জন্য় দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাগে সেখানে যায়নি ছেলে। ওঁরা জমিদারি কায়দায় বড় হয়েছে। নন্দীগ্রামে ওরা বাড়ির ভিতরে থাকত। সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে ওর সেটিং ছিল।’ পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি এর কোনও উত্তর দেব না। উনি মাথার ডাক্তার দেখান। নন্দীগ্রামের মানুষই নির্বাচনের সময় জবাব দিয়েছেন।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup