রাজ্য সরকার চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি দুটি আলাদা গেজেট জারি করে ঘোষণা করেছিল, একটি এটিএফ থানা তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার জন্য শিলিগুড়ির অম্বিকানগরে এবং অপরটি দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার জন্য সল্টলেকে। তবে এই দুই থানার আওতা কলকাতা পুলিশ এলাকার বাইরে।
কলকাতা হাইকোর্ট
অপরাধ দমনে রাজ্য সরকারের তৈরি দুটি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এফটিএফ) থানার গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নতুন ফৌজদারি আইন ভারতীয় ন্যায়বিচার সংহিতা-এর কাঠামোকে দুর্বল করতে পারে।
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি দুটি আলাদা গেজেট জারি করে ঘোষণা করেছিল, একটি এটিএফ থানা তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার জন্য শিলিগুড়ির অম্বিকানগরে এবং অপরটি দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার জন্য সল্টলেকে। তবে এই দুই থানার আওতা কলকাতা পুলিশ এলাকার বাইরে। ১৬ মে-র একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজ্য আরও জানিয়েছিল, দুটি থানাকে যথাক্রমে শিলিগুড়ি ও বিধাননগর এসিজেএম আদালতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে ঘিরেই প্রশ্ন তোলে আদালত। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, শুধুমাত্র একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কোনও একক থানা গোটা উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জন্য কার্যকর করা যায় না। বিচারপতিদের মতে, এতে ন্যায়বিচারে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে। আদালতের ভাষায়, ন্যায় পাওয়া হল মৌলিক অধিকার। যদি কোনও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এফআইআর নথিভুক্ত করতে না পারেন, তাহলে তা আইনি কাঠামোর বিপরীত।