পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের কাছে কোনও তথ্য নেই। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, কোভিডের সময় যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর তোরজোর চলেছে সেই সময় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে রয়েছে সেই তথ্য দিতে পারেনি সরকার।
কলকাতা হাইকোর্ট।
রুটিরুজির তাগিদে ভিন রাজ্যে বা বিদেশে গিয়ে কাজ করেন বাংলার বহু শ্রমিক। রাজ্যে এই ধরনের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে এই তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ১২ বছরে কেন পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত সঠিক তথ্য রাজ্যের কাছে নেই, সে বিষয়টিও জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের কাছে কোনও তথ্য নেই। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, কোভিড পরিস্থিতির সময় যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর তোড়জোড় চলেছে সেই সময় এই রাজ্যের কতজন পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে রয়েছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেনি সরকার। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে চার সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত তথ্য হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে।
আদালতে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই তথ্য রাজ্য দিতে পারেনি, শুধু তাই নয় কোভিড পরিস্থিতির সময় যখন সমস্ত রাজ্য শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনছিল সেই সময়ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও তথ্য দিতে পারেনি। এরপর মামলাকারী কত বছর একটি আরটিআই করেন। তাতে তিনি জানতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। আলাদা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করেনি রাজ্য সরকার।