প্রশাসনিক মিটিংয়ে কলকাতার বাস নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। মমতার তোপের মুখে পড়েছিলেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে কলকাতায় রাস্তায় বেরিয়ে পরিস্থিতি ঘুরে দেখার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে এই ধমকের পরেই কাজ হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই কার্যত আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়ে পরিবহণ দফতর। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় এদিন দেখা যায় যে পুলিশ বাসের কাগজপত্রও পরীক্ষা করে দেখছে।
সূত্রের খবর, সোমবার পরিবহন দফতরের একাধিক আধিকারিক আমতলা ডিপো, ঠাকুরপুকুর ৩এ ডিপো, শিলপাড়া ডিপোতে ঘুরে দেখেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
এদিকে মুখ্য়মন্ত্রীর ধমকের পরেই বাসের সংখ্য়া বাড়ছে রাস্তায়। কলকাতা শহর ও শহরতলি এলাকায় বাসের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৪১৯৮টি ট্রিপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর আগে ৫৫০টি বাস নিয়ে ৩৩০০ টি ট্রিপ করার ব্যবস্থা ছিল। নিউ টাউন এলাকায়. এর আগে ১০৮টি ট্রিপ ছিল। এবার ১৫৬টি বাস করা হচ্ছে।
এদিকে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পরিবহণ সচিব সেক্টর ফাইভে গিয়ে বাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন। কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী ধমক খাওয়ার পরেই রাস্তায় নামেন। মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী যেখানে আমাদের ঘাটতি থাকে তখনই আমাদের বলেন। এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে তিনি দেখেন কয়েকজন রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। এরপরই তিনি বাসের ট্রিপ বাড়ানোর কথা বলেন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি। যে সব জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ যান…যে পরিমাণ সরকারি বাস থাকা দরকার সেটা কোথাও কোথাও অভাব দেখা যায়।
কী বলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী?
‘ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট সাইলেন্ট ডিপার্টমেন্ট হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী, সচিব কোনও দিন ভিজিট করেছেন। এদিকে মন্ত্রী সেই সময় বলেছিলেন কিছু বাস বাড়িয়েছি। এরপর মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন কিছু বলে কিছু হয় না। তুমি কি বাড়িয়েছ?’
এদিকে মুখ্য়মন্ত্রীর ধমকের পরেই রাস্তায় নামেন পরিবহণমন্ত্রী। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেক্টর ফাইভ থেকে রোজ বাস ধরেন যাঁরা তাঁদের একাংশ বলেন, হাওড়ার দিকে যাওয়ার পর্যাপ্ত বাস পাই না। এটা দেখা দরকার।
এদিকে সূত্রের খবর, একাধিক রুটে বাস বাড়ছে বলে খবর।
হাতিশালা হাওড়া, উল্টোডাঙা ইকোস্পেস, সাপুরজি হাওড়া, নিউটাউন হাওড়া, হাইল্যান্ড উইলোজ হাওড়া, উল্টোডাঙা-ইকোস্পেস, দমদম স্টেশন-করুণাময়ী রুটে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
তবে সূত্রের খবর, একাধিক রুটে কাগজপত্র ছাড়াই চলছে বাস। থানায় মাসিক ভিত্তিতে টাকার বিনিময়ে ছাড়় মিলছে বলেও অভিযোগ।