বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলায় বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়লেন হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেছেন, ‘হুমায়ুন কবীরের বাবার নাম বাবর নাকি? হঠাৎ করে বাবরি মসজিদ তৈরি করার ইচ্ছা কেন হল?’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, অতীতেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হুমায়ুন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাননি বলেই হুমায়নের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন তরুণজ্যোতি।
বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির ঘোষণা হুমায়ুনের
আর হুমায়ুনের যে মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেটা সোমবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে বলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি দাবি করেন, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। কাজ শুরু হবে আগামী বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে (যেদিন অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল)। সেদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। মসজিদের কাজ শেষ করতে মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ বছর লাগবে।
সেই বাবরি মসজিদের জন্য কীভাবে অর্থের সংস্থান হবে, সেটারও একটা রূপরেখা দিয়েছেন হুমায়ুন। তিনি জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করবেন। তাতে বিভিন্ন মাদ্রাসার লোকজন থাকবেন। সেই ট্রাস্টই মসজিদ নির্মাণের কাজের দেখভাল করবেন। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমেই মসজিদ তৈরি হবে। আর অর্থের জন্য নিজের জমি বিক্রি করে দেবেন। দান করবেন এক কোটি টাকা।
মুখ্যমন্ত্রীকেও মসজিদ উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানাবেন হুমায়ুন
তবে হুমায়ুন এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিধায়ক হিসেবে তিনি বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেননি। বরং ইসলাম ধর্মের মানুষ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর বেলডাঙাতেই মসজিদ নির্মাণের পিছনেও কারণ আছে বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন।
তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম মানুষের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ। সেখানে মুর্শিদাবাদে ৭৫ শতাংশ মুসলিম আছেন। আর সেই জেলার বেলডাঙায় পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে পুরনো মাদ্রাসা রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মুসলিমদের ভাবাবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর মসজিদ উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।