এক ইঞ্চি জমি তৃণমূল কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আর সেটা বোঝাতেই ১২ ফেব্রুয়ারি বিজেপির কলকাতা জোনের রথযাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকী যেখানে জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল, সেই শিরাকল দিয়েই যাবে রথ। আর সেদিনই বুঝে নেওয়া হবে হিম্মত কার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। রথযাত্রার সূচনা করতে শুক্রবার বাংলায় আসছেন জেপি নড্ডা।ডায়মন্ডহারবারে এদিন রথযাত্রা রুট ও প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসেন বিজেপির কলকাতা জোনের নেতারা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই রথযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে জলঘোলা কম হয়নি। বিধানসভা নির্বাচন যখন দোরগোড়ায়, তখন রাজ্যে ফের একই কর্মসূচি নিল বিজেপি। বাংলায় এবার ৫টি রথযাত্রা করার কথা ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। ৬ ফ্রেরুয়ারি নবদ্বীপ থেকে প্রথম রথযাত্রাটির সূচনা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।সূত্রের খবর, এমনভাবে রুট তৈরি করা হয়েছে যাতে রথ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই যায়। বিজেপির তরফে ঠিক করা হয় চলতি মাসের ৬ তারিখ নবদ্বীপ থেকে সূচনা হবে রথযাত্রার। উদ্বোধনে থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। ১১ তারিখ কোচবিহার থেকে উত্তরবঙ্গ জোনের রথযাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিন ঠাকুরনগরে সভা করবেন তিনি। এরপর ১২ তারিখ সাগরের কপিলমুনির আশ্রম থেকে কলকাতা জোনের রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন শাহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকলে যেখানে জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখান দিয়েই আসবে এই রথ।এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ–সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কার্যত ঝুলিয়ে রেখেছে নবান্ন। পাল্টা চিঠিতে জানানো হয়েছে, যে যে এলাকায় রথযাত্রা হবে, সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সমস্ত আইন মেনেই কর্মসূচি পালন করতে হবে। তাই এবার খাস কলকাতায় রথযাত্রার রুট বদলে দিল বিজেপি।উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলায় এসেছিলেন জেপি নড্ডা। একাধিক কর্মসূচি ছিল তাঁর। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সভা করার কথা ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে শিরাকলে হামলা চলে তাঁর কনভয়ে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ঘটনার নেপথ্যে শাসকদল। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করে। কনভয়ে হামলার ঘটনাকে ‘প্রচার না পেয়ে নাটক’ বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিরাকোলে স্পর্শকাতর রুটে রথযাত্রার পরিকল্পনা করে কার্যত প্রশাসনকেই কী চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।