এবার জিএসটিতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যাপারে সরব হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে।উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দিতে পারে, তবে তা বাধ্যতামূলক নয় এবং ৫ বছরের জন্য এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।তবে এবার ফের জিএসটিতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যাপারে ফের সরব হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি যখন জিএসটির এমপাওয়ার কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, কেন রাজ্য তাদের প্রাপ্য জিএসটি থেকে বঞ্চিত হবে।কেন রাজ্য ৭০ শতাংশ তাদের প্রাপ্য কর ছেড়ে দিতে হবে।যদি সেই প্রাপ্য কর ছেড়েও দেওয়া হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে রাজ্যগুলির যদি কর আদায়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি হয়, তাহলে কীভাবে তার ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র।তখন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে সেই প্রস্তাব রাখার পর কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, কেন্দ্র ৫ বছরের জন্য রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দেবে।তবে তা বাধ্যতামূলক, তা কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর খসড়া প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল না।তখন এমপাওয়ার কমিটির পক্ষ থেকে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের মতামত নিয়ে একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো হয়, রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে এবং সেটা ৫ বছরের জন্য বললে হবে না।৫ বছর অবধি দিতেই হবে।এদিন সেই একই দাবিতে সরব হলেন রাজ্যর অর্থমন্ত্রী।এর আগে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে না বলতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লেখেন অমিত মিত্র।সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘বার বার অনুরোধ করা সত্বেও জিএসটি কাউন্সিলের মিটিংয়ের শেষে তাঁকে বলতেই দেওয়া হয়নি।সেই জায়গায় উত্তর প্রদেশের অর্থমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয়।তিনি আমার বক্তব্যের কিছু অংশ বাদ দিয়ে দেওয়ার দাবি জানান এবং সেটি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মেনেও নেন।’