এবার সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই তার আগে রাজ্যবাসীর জন্য নতুন কোনও খাতে অর্থ বরাদ্দ হয় কি না এবং অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে এবারের বাজেটে চমক থাকবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা বাজেট অধিবেশন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর উপস্থিতি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে।
বিধানসভায় আজ সর্বদলীয় বৈঠক
আগামী সোমবার রাজ্য বিধানসভায় শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। তবে সূত্রের খবর, ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হতে পারে বাজেট। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য বাজেটে কোন কোন বিষয়গুলি উঠে আসছে সেদিকেই নজর সকলের। সংসদে ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর এবার পেশ হতে চলেছে রাজ্য বাজেট। বিধানসভায় আজ, শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন নৌশাদ সিদ্দিকী। তবে বিজেপি বিধায়করা এড়িয়ে গিয়েছেন।
এদিকে বিজেপি বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিধানসভা চত্ত্বরে ফিসফাস হতে শোনা যায়। তবে এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাউসে বিরোধীদের থাকা উচিত। বিরোধী ছাড়া রাজনীতি হয় না। পর পর দু’টি বৈঠক উপেক্ষা করা যুক্তিযুক্ত হয়নি প্রধান বিরোধী দলের। এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে ধরনায় বসেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেড রোডে ধরনা কর্মসূচি চলবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেদিন অধিবেশনে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে তিনি বৈঠকে বসবেন।
অন্যদিকে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই আনা হবে শোক প্রস্তাব। তারপরই শেষ হয়ে যাবে অধিবেশন। ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি হাওড়া পুরসভা নিয়ে সংশোধনী বিল পেশ করা হবে রাজ্য বিধানসভায়। ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করা হবে। ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি পেশ করা বাজেট নিয়ে চলবে আলোচনা। এবার সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই তার আগে রাজ্যবাসীর জন্য নতুন কোনও খাতে অর্থ বরাদ্দ হয় কি না এবং অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে এবারের বাজেটে চমক থাকবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা বাজেট অধিবেশন বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে।
এছাড়া আজ বিধানসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী–সহ বিজেপি বিধায়করা। সেটা নজরে পড়তেই বিমান বলেন, ‘আমি অল ইন্ডিয়া স্পিকার কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। কোনও রাজ্যের স্পিকাররা বলেননি যে, বিরোধীরা এভাবে এতদিন বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন। এমন নজির নেই। আমি চাই বিরোধীরা থাকুন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, আমি সহমত। হাউসে বিরোধীদের থাকা উচিত। বিরোধী ছাড়া রাজনীতি হয় না। গণতন্ত্র সুরক্ষিত হয় না। বিধানসভার মর্যাদা রাখার দায়িত্ব বিরোধীদেরও।’ ৩০ দিনের সাসপেনশন শেষ বলে জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বিএ কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। তিনি আসেননি। বিরোধী দলনেতা আচরণ সঠিক করছেন না। তাঁর সংযত হওয়া উচিত। বিরোধী দলনেতা সৌজন্য দেখালে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে কোনও আপত্তি নেই।’