তবে কি সিপিএমের সঙ্গ ছড়ালেন দলের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা। সূত্রের খবর, দলের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করেননি তিনি। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে, জাগো বাংলায় উত্তরসম্পাদকীয়ই কি বিভাজন গড়ে দিল দলের পথে তাঁর? এর পর কি ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরার পথে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন অজন্তাও?আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, মার্চে দলের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণের আবেদন জমা পড়েছে। একে একে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবেদনগুলি। কিন্তু তাকে অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তার আবেদনপত্র পাওয়া যায়নি। যদিও বিষয়টি স্বীকার করেননি সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কারও নামে আলাদা করে কিছু বলা সম্ভব নয়। সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ওদিকে অজন্তাদেবীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে অনিলবাবুর মৃত্যুর পর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের দূরত্ব বাড়ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর অসুস্থ হন অজন্তার মা। অভিযোগ, তখন তাঁর চিকিৎসার কোনও উদ্যোগ নেয়নি সিপিআইএম। বরং তৃণমূলের তরফে হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে পরিবারের।বলে রাখি, গত বছর ২৮ জুলাই থেকে চার কিস্তিতে তৃণমূলের মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’য় প্রকাশিত হয় অজন্তা বিশ্বাসের উত্তরসম্পাদকীয়। বিষয় ছিল, ‘বাংলার রাজনীতিতে নারীশক্তি’। প্রতিবেদনের শেষ কিস্তিতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এর জেরে তাঁকে শোকজ করে কলকাতা জেলা সিপিএম। অজন্তা তার জবাব দিলেও ৩ মাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। তার পর থেকে দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় বলে সূত্রের খবর।আলিমুদ্দিন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাস দলের অধ্যাপক সংগঠনের নেত্রী। কেন তিনি সদস্যপদ নবীকরণ করেননি তার খোঁজ চলছে।সম্প্রতি কলকাতা পুরভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন আরএসপির প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা। অজন্তা বিশ্বাসও কি সেই পথে? সদস্যপদ নবীকরণ না করায় উঠছে প্রশ্ন।