সরকারের নির্দেশ মতো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে রাজ্যের তরফে যে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই পথেই হাঁটেনি সিইএসসি। তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, অস্বাভাবিক চড়া বিলের সমাধান করেই ছাড়বেন।
শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রী সিইএসসি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, শনিবারের মধ্যে শহরের অধিক প্রচারিত সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেশি বিল নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। সেইমতো বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও ব্যাখ্যা তো দূর অস্ত, কোন স্ল্যাবে বিল নেওয়া হচ্ছে, তাও জানানো হয়নি। শুধুমাত্র নিজেদের সাফাই গেয়েছে সিইএসসি। সেই বিজ্ঞাপনে গ্রাহকদের ক্ষোভ ছিঁটেফোটাও কমেনি, উলটে বেড়েছে। অস্বাভাবিক চড়া বিলের কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়া হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রীও। তিনি জানান, চড়া বিল পাঠানো হয়েছে কেন, সেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি।
এরইমধ্যে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সিইএসসিকে নোটিশ ধরানো হবে। দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের বক্তব্য, ঠিকমতো মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। উলটে বরবার যে বিল আসে, তার দু'তিন গুণ বিল পাঠানো হচ্ছে। তার জেরে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা। সোমবারই সিইএসসি-র সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা।
যদিও রোজকারের মতো নিজেদের সাফাই গেয়েছে সিইএসসি। গ্রাহকদের প্রতি তারা ‘দায়বদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন সংস্থার আধিকারিকরা।