বুধবার এর উদ্দেশ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কোচবিহারের জেলাশাসকের দফতরের কনফারেন্স হলে বৈঠক হয়। তাতে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন, দ্রুত সমাপ্তি এবং প্রচারের পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বুধবার এর উদ্দেশ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কোচবিহারের জেলাশাসকের দফতরের কনফারেন্স হলে বৈঠক হয়। তাতে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন, দ্রুত সমাপ্তি এবং প্রচারের পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, পিডব্লুউডি-র ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, 'সমস্ত হেরিটেজ বিল্ডিংগুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১৫৪টি সাইটের মধ্যে ৯০টিতেই সংস্কারের কাজ চলছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করা। বর্ষার কারণে যদিও কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য কোচবিহারকে একটি হেরিটেজ শহরে রূপান্তর করা। সমস্ত সংস্কারই ঐতিহ্যের নিয়ম মেনে করা হচ্ছে। উপরন্তু, খাগড়াবাড়ি এলাকায় একটি হেরিটেজ গেট তৈরি করা হচ্ছে। এটি কোচবিহার শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। সামগ্রিকভাবে, হেরিটেজ রেস্টোরেশনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।'
২০১৭ সালে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার সফরে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়েই এটিকে একটি হেরিটেজ শহর হিসাবে গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
তখন থেকেই এই রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৯ সালে এই উদ্দেশ্যে হেরিটেজ কমিটি গঠিত হয়। কোচবিহারের ১৫৪টি স্থানকে হেরিটেজ সাইট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন পুরানো ভবন এবং পুকুর রয়েছে।
এই ১৫৪টি ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে ৯০টি সাইটের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে।