ডাক বিভাগের এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। নিজের ঘরে একাই শুয়ে রয়েছেন শিলিগুড়ি সূর্যনগরের বাসিন্দা। আর তাঁকে ফেলে রেখে গৃহত্যাগ করেছেন স্ত্রী –সহ বিলেত ফেরত একমাত্র ছেলে। অসুস্থ ক্যানসার রোগীর বড় ভরসা এখন প্রতিবেশী–সহ শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী পাল।
শয্যাশায়ী ক্যানসার রোগী।
শরীরে ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তার পর থেকেই বাড়ির সদস্যদের আচরণ পাল্টে গেল। শয্যাশায়ী ব্যক্তির পাশ থেকে সরে গেল সবাই। তিনি যাঁদের আপন ভেবেছিলেন—সেই স্ত্রী, ছেলেও এখন উধাও। বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন স্ত্রী–সহ বিলেত ফেরত ছেলে। অমানিবকতার চরম এক নজির দেখা গেল শিলিগুড়ির সূর্যনগরে। ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর এখন একা বাঁচার লড়াই। কাজের লোকের ভরসাতে দিন কাটছে শয্যাশায়ী ক্যানসার রোগীর।
ঠিক কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যান্সার আক্রান্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন স্ত্রী এবং বিলেত ফেরত ছেলে। এই পরিস্থিতিতে জীবন–যুদ্ধের লড়াইটা একাকী লড়তে হচ্ছে। তবে পাশে আছেন কাউন্সিলর এবং প্রতিবেশীরা। এমন অবস্থাতেও একাকীত্বের যন্ত্রণা সহ্য করে গৃহত্যাগ করা স্ত্রী কিংবা বিলেত ফেরত পুত্রের নামে কোনও অভিযোগ করতে অস্বীকার করেছেন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি। এখন শয্যাশায়ী এই বৃদ্ধের নাম স্বপনেশ ভৌমিক (৬৮)।