বাংলায় উৎপাদিত পানকে বিশ্বের বাজারে ছড়িয়ে দিতে চায়ছে রাজ্য সরকার। এরজন্য কৃষকদের বিরাট আশ্বাস দিল রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। বিদেশে পান রফতানির জন্য যাতে একটি কার্গো বিমানের ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনে একটি কামরা পানের জন্য সংরক্ষণ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে দ্বারস্থ হতে চলেছে দফতর। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এছাড়া, উন্নত মানের পান উৎপাদনের জন্য ল্যাব তৈরি করারও আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ভারত বিদ্বেষী হিজবুতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তোপ ইউনুস সরকারকেও)
আরও পড়ুন: প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ৩০ শতাংশ হিমঘরে জায়গা রাখতে হবে, নির্দেশ কৃষি বিপণন দফতরে
শুক্রবার খেজুরি ১ নম্বর ব্লকের বারাতলা পঞ্চায়েতে সেমিনার হলে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন পানচাষি, আড়তদার এবং পান ব্যবসায়ীরা। সেখানেই মন্ত্রী এমন আশ্বাস দিয়েছেন। অনেকের ধারণা পান খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। তবে সেটা হয় না বলেই জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, পান নিয়ে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ানো হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ৯০ মিটার লম্বা ৬৫০ টন ভারী টানেল বোরিং মেশিন এল কলকাতায়, পাড়ি দিল ১৬৫৩ কিমি পথ)
আরও পড়ুন: আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন? শুধু আধার নয়, এবার রেশন কার্ডের সঙ্গে জুড়তে পারে...
পাশাপাশি পান চাষিদের দীর্ঘদিনের সমস্যা হল গুছি এবং নিলামের ডাক নিয়ে। একটি গুছিতে ৫০টি পান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে গুছিতে ১০০ এমনকী ২৫০টি পান দিতে হচ্ছে চাষিদের। যারফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। এনিয়ে পান চাষিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ চলছিল। (আরও পড়ুন: বাসের মেয়াদ নিয়ে মন্ত্রী বলছেন এক কথা, হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীর মুখে 'অন্য কথা')
আরও পড়ুন: দমদমের তিন নম্বর আপ লাইনে সিগন্যালিংয়ে ত্রুটি, পরপর দাঁড়িয়ে পড়ল লোকাল ট্রেন
আরও পড়ুন: ৪৭ শতাংশের লাফ! কোভিডের পরে বাংলায় ক্রমেই বেড়েছে ভুয়ো ওষুধের রমরমা
তাছাড়া নিলামে দাম নির্দিষ্ট হওয়ার পরও চাষিদের কম টাকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি গুছিতে নিম্নমানের পান ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতি গুছিতে ৭০টি পান থাকবে। এর কম বা বেশি পান থাকবে না। এনিয়ে সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত যাতে কার্যকর হয় তার জন্য এলাকাভিত্তিক সভা করা হচ্ছে। পাশপাশি নিলামের দরও ভাঙা যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রতিটি পানের বাজারে এনিয়ে নজরদারি চালাবে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত অমান্য করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী। তাঁদের নিয়ে সচেতনতা সভা করেছেন। এদিন খেজুরিতে সভায় উপস্থিত ছিলেন কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানসকুমার পণ্ডা, খেজুরি-১ ও ২ বিডিও প্রমুখ।