আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগেই গঙ্গাসাগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা থেকে শুরু করে সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের অফিসাররা। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রাখা হচ্ছে। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে। সেখানে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। আগামী ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাগরদ্বীপে হবে গঙ্গাসাগর মেলা। গোটা দেশের অধিকাংশ পুণ্যার্থী ভিড় জমান এই মেলায়। কয়েক লক্ষ মানুষের জমায়েত এবারও হবে বলেই আশা প্রশাসনের।
এদিকে বাংলাদেশে বন্দি ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে এবার দেশে ফিরে আসছেন। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে ওই দিন এই মৎস্যজীবীদের হস্তান্তর করা হবে। গঙ্গাসাগরে আসার পরে অভ্যর্থনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বঙ্কিম হাজরা এবং মন্টুরাম পাখিরাকে। সেখান থেকে তাঁদের সকলকে নিরাপদ ঘেরাটোপে নিয়ে আসা হবে। তাই কঠোর সতর্কতাও নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ আতঙ্কের আবহে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। জলপথেও নিরাপত্তা তুমুল বাড়ানো হয়েছে। সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবার গঙ্গাসাগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সংগঠন মজবুত করতে কড়া বার্তা দিলেন সুনীল বনসল, জেলা সভাপতিদের করলেন সতর্ক
অন্যদিকে আগামী সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরে এসে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। এখানে এসে পুজো দেবেন তিনি কপিলমুনির মন্দিরে। সেখান থেকে চলে যাবেন ভারত সেবাশ্রমের কার্যালয়ে। তারপর আজ, রবিবারই জেলবন্দি ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরছে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারত থেকেও বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা ফিরে যাবেন পদ্মাপারে বলে জানা গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের অভ্যর্থনা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।