বামেরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের উপ-নির্বাচনে ‘একলা চলো’ নীতি নিল কংগ্রেস। মঙ্গলবার রাতের দিকে পশ্চিমবঙ্গের ছ'টি বিধানসভা কেন্দ্রের (সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর এবং তালড্যাংরা) উপ-নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করা হল। অর্থাৎ ছ'টি কেন্দ্রেই চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। আর সেই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের আশা চিরতরে শেষ হয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও একটি মহলের বক্তব্য, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখনও প্রায় দেড় বছর আছে। ফলে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। তবে প্রতিবারের মতো শেষমুহূর্তে জোট না করে উপ-নির্বাচন দিয়ে ‘নেট প্র্যাকটিস’ সেরে রাখত। আর তারপর দেড় বছর পরে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপাতে পারত।
বাংলার ৬ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের কংগ্রেসের প্রার্থী কারা?
১) সিতাই: হরিহর রায় সিনহা।
২) মাদারিহাট: বিকাশ চম্প্রমারি মেরি।
৩) নৈহাটি: পরেশনাথ সরকার।
৪) হাড়োয়া: হাবিব রেজা চৌধুরী।
৫) মেদিনীপুর: শ্যামলকুমার ঘোষ।
৬) তালড্যাংরা: তুষারকান্তি সন্নিগ্রাহী।
বাম প্রার্থীদের মধ্যে CPIM-র স্রেফ ১ জন
কংগ্রেস যেখানে নিজেরাই ছ'টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, সেখানে সিপিআইএম স্রেফ একটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। হাড়োয়া কেন্দ্র ছেড়ে রাখা হয় আইএসএফের জন্য। তাতে প্রার্থীও দিয়েছে আইএসএফ। সিতাইয়ে লড়াই করছে ফরওয়ার্ড ব্লক। মাদারিহাটে লড়ছেন আরএসপি প্রার্খী। মেদিনীপুরে সিপিআই প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। নৈহাটিতে তো বামেদের সমর্থনে লিবারেশন লড়াই করছে।
যদিও এরকম পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য কংগ্রেসের তরফে বামেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ফোন করেছিলেন স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। হাতে হাত মিলিয়ে বিধানসভা উপ-নির্বাচনের লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন। নিদেনপক্ষে একটি বা দুটি আসনে সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তা নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। শেষপর্যন্ত অবশ্য লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: Aniket vs Asfakulla: ‘বলতে দিলে তো বলব’- আসলে মমতার উদ্দেশ্যে সেটা বলেননি অনিকেত! নিশানায় ডাক্তারই?
বামেদের কটাক্ষ তৃণমূলের
আর পুরো বিষয়টি নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নৈহাটির এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এই বাজারেও কংগ্রেস উপনির্বাচনের ছ'টি আসনেই প্রার্থী দিয়ে দিল। সিপিএমের সঙ্গে জোটও ভেঙে গেল। কিন্তু সিপিএম তাও ছ'জন প্রার্থী জোগাড় করতে পারে না! ফেসবুকেই থাকুক সিপিআইএম। ট্রোল করুক। মিম বানাক।’