ছুটি পেলেই বাঙালির মন পড়ে দিঘার দিকে। সাগরের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুরে আসার সেই পুরনো অভ্যাসে এবার যেন আরও গতি এসেছে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর থেকেই পর্যটকের ভিড় কয়েক গুণ বেড়েছে। সেই বাড়তি চাপ সামলাতে এবার দিঘামুখী যাত্রীবাহী বাস নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। (আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ধৃত মনোজিতদের নিয়ে আদালতে কী বলা হল?)
আরও পড়ুন: দিঘায় প্রথম রথযাত্রা ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, মোতায়েন তিন হাজার ফোর্স
মঙ্গলবার এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের দফতরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন বাস মালিকদের সংগঠন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এখন থেকে দিঘামুখী বাস চলাচলে সময়, শৃঙ্খলা ও যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এবার থেকে দিঘাগামী বাসগুলিকে নিয়ম মানতে হবে। জানা যাচ্ছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়েই ছাড়তে হবে বাস। বাস কখন ছাড়বে, কখন দিঘায় ঢুকবে। এই সময় নির্দিষ্ট করে দেবে পরিবহণ দফতর। অনুমোদিত সময়সীমার বাইরে বাস চলাচল করা যাবে না। এছাড়াও, একই সময়ে ৫-৬টি বাস একসঙ্গে দিঘায় ঢুকে পড়লে ভিড় বেড়ে যায়। দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। এবার থেকে এমন পরিস্থিতি এড়াতে বাসগুলিকে নির্দিষ্ট ব্যবধানে প্রবেশ করাতে হবে। (আরও পড়ুন: ছাত্রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বলা TMCP নেতা সৌভিক রায়কে শোকজ দলের)
আরও পড়ুন: যাদবপুরে পুলিশের জুতোতে লাগল আগুন, বাংলার কোথায় কেমন প্রভাব ভারত বনধের?
অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় বাস দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। যাত্রী তোলামাত্র বাস ছাড়তে হবে, তা-ও নির্দিষ্ট সময় মেনে। সেক্ষেত্রে নির্দেশিকা না মানলে বাস মালিক বা চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে দফতর।এছাড়াও, বিশেষ পরিস্থিতিতে যদি বাসের রুট বা সময় বদলানোর প্রয়োজন হয় তাহলে পরিবহণ দফতর তা আগাম জানাবে। বাস মালিকরা কোনও অজুহাত দেখাতে পারবেন না। মাসে একবার বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। নজরদারির দায়িত্বে থাকবে আঞ্চলিক দফতর। (আরও পড়ুন: বড় কোনও দায়িত্ব পাবেন দিলীপ? শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ডাক পেলেন দিল্লিতে)
সাধারণত, দিঘার জগন্নাথ মন্দির কেন্দ্র করে ব্যাপক ভিড় জমছে প্রতিদিন। বাড়ছে বাসের সংখ্যা। বাস একসঙ্গে ঢোকার ফলে রাস্তায় যানজট, যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। পরিবহণ দফতরের এই কড়া পদক্ষেপ সেই সব অনিয়ম রোখারই চেষ্টা। দফতরের মতে, যাত্রীদের সুরক্ষা ও দিঘা শহরের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতে সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করা এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।