২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে প্রধানের আসন পেয়েছেন। কিন্তু, প্রধান হলেও যে ভাতাটুকু পান তাতে সংসার চলে না। তাই চেয়ারের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মোটর ভ্যান চালকের আসনে বসেন বাঁকুড়ার রায়পুরের সোনাগাড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান স্বপন রজক। মোটর ভ্যানে নিজেই মালপত্র ওঠানো নামানোর কাজে হাত দেন। সম্প্রতি শাসক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যেখানে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সেই জায়গায় স্বপনের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ বলেই দাবি করছেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন : TMC-র লোকেরাই তো লাল ঝান্ডা লাগায়! মমতার দলের সঙ্গে বামেদের রসায়ন বোঝালেন দিলীপ
স্বপন জানিয়েছেন, সংসার চালানোর জন্যই তিনি মোটর ভ্যান চালানোর পেশা ছাড়েননি। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে মাসে পাঁচ হাজার টাকা মাসে ভাতা পান, অথচ সেই জায়গায় মোটর ভ্যান চালিয়ে মাসে ১০,০০০ টাকা আয় হয়। ফলে সংসার চালানোর জন্যই তিনি মোটেও ভ্যান চালানোর পেশা ছেড়ে দেননি। প্রধানের আসনে বসলেও এখনও ভ্যান চালান।
স্থানীয়দের একটা বড় অংশের দাবি, যেখানে অন্যান্য শাসক দলের নেতা জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রধান হলেও এখনও টলে যাননি স্বপন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্বপনের বাড়িতে রয়েছে বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেছেন। তারপর শাল পাতার ব্যবসা শুরু করেন। সাত বছর আগে সেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে মোটর ভ্যান কেনেন। স্বপন পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রধানের চেয়ারে বসেন সেই সঙ্গে দলীয় কাজেও অংশগ্রহণ করেন। তবে সকাল বিকেল একইসঙ্গে মোটর ভ্যানও চালান। নিজের ভ্যানে বিভিন্ন সরঞ্জাম বহন করেন তিনি। স্বপনের কথায়, সংসার চালাতে হবে। তাই প্রধান হলেও তাতে লজ্জার কিছু নেই।